এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ, চুল দাড়ি কেটে লম্পটের ছদ্মবেশ!

তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ। কয়েকদিন আগেও তার বড় বড় দাড়ি আর মাথা ভর্তি চুল ছিল। এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের মামলার আসামি হওয়ার পরপরই গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মবেশ ধারণ করেন তিনি। চুল-দাড়ি কেটে প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে লুঙ্গি পরে নতুন ছদ্মবেশ নেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের দিরাই থেকে তাকে আটক করেছে র‌্যাব। তিনি সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার মামলার দুই নম্বর আসামি।

র‌্যাব-৯ এর গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা এএসপি ওবাইন রাখাইন জানান, গ্রেপ্তার এড়াতে মাথার চুল ফেলে ন্যাড়া হন তারেক। ক্লিন শেভ করে বড় বড় দাড়িও ফেলে দেন তিনি। গ্রেপ্তারের সময় তারেক খালি গায়ে লুঙ্গি পরা অবস্থায় ছিলেন। এমন ছদ্মবেশী তারেককেই অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারেকসহ এই মামলায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

র‌্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলম জানান, দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের বরমা গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল তারেক। গোপন সংবাদে অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকালে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার এক দম্পতি। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৫-৬ জন যুবক জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় দম্পতিকে। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে ১৯ বছরের গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে তারা। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে শাহপরাণ থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে শাহপরান থানায় মামলা করেন তরুণীর স্বামী। তারা হলেন- সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম। এ পর্যন্ত  ৮জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: আরও তিনজন ৫ দিন করে রিমান্ডে

ছাত্রাবাসে ধর্ষণ : শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি

 

টাইমস/জেকে/এইচইউ

Share this news on: