রাজশাহীর তানোরে গীর্জায় কিশোরীকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বরখাস্ত ফাদার প্রদীপ গ্যাগরীকে (৫০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরীর নওদাপাড়া এলাকার বিশপ হাউস থেকে ওই ফাদারকে আটক করে র্যাব।
র্যাব-৫ এর রাজশাহীর কোম্পানি অধিনায়ক এটিএম মাইনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, গ্রেপ্তার এড়াতে প্রদীপ গ্যাগরী নওদাপাড়া বিশপ হাউসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। খবর পেয়ে সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাকে তানোর থানায় সোপর্দ করা হয়।
তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান জানান, গ্রেপ্তার ফাদারকে ওই মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও জানান, এছাড়া শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে বুধবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। পুলিশ এ নিয়ে আইনত ব্যবস্থা নিচ্ছে।
জানা গেছে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় বাড়ির পাশে ওই গীর্জার কাছে ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হন ওই কিশোরী। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে তাকে না পেয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরী নিখোঁজ এর সাধারণ জিডি করেন তার ভাই। থানায় জিডির পর ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরের পর তারা জানাতে পারেন কিশোরী গীর্জার ফাদার প্রদীপের রুমে বন্দি অবস্থায় আছে। এরপর গ্রামের মোড়ল ও মুন্ডুমালা সরকারি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কার্মেল মার্ডির নেতৃত্বে ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গীর্জার ভিতরে শালিস বৈঠক বসে। সেখানে ওই কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন ফাদার প্রদীপ গ্যাগরী। পরে তাকে সেখান থেকে সরিয়ে রাজশাহীতে নিয়ে যান কমিউনিটির নেতারা।
এ ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে গীর্জায় যান তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো ও তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান। তারা কিশোরীকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন।
এ ঘটনায় রাতে ওই কিশোরীর ভাই ফাদারকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন
রাজশাহীতে ফাদারের বিরুদ্ধে কিশোরীকে গীর্জায় আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ
টাইমস/এইচইউ