গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন : বাদল ও ইউপি সদস্য সোহাগ রিমান্ডে

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি বাদলকে ৭ দিন ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাশফিকুল হক এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মামলার প্রধান আসামি নুর হোসেন বাদল ও ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ। এদের মধ্যে বাদলের সাতদিন ও সোহগের দুদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রধান আসামি নুর হোসেন বাদলকে পৃথক দুটি মামলায় ২০ দিন এবং মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগের সাতদিন রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক বাদলের সাতদিন ও সোহাগের দুদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে সোমবার বিকেলে একই আদালত এ মামলায় গ্রেপ্তার মো. আব্দুর রহিম ও রহমত উল্লাহর তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অপরদিকে মঙ্গলবার বিকেলে একই ঘটনায় গ্রেপ্তার দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমিদা খাতুন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

নির্যাতনের শিকার নারী বাদী হয়ে গত রোববার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও পর্নোগ্রাফি আইনে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় দুটি মামলা করেন। মামলার ৯ আসামির মধ্যে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ উল্লেখ করেন, গত ২ সেপ্টেম্বর দীর্ঘদিন পর বাবার বাড়িতে তার স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। রাত ৯টার দিকে শয়নকক্ষে স্বামী স্ত্রী একসঙ্গে ছিলেন। এ সময় বাদল, রহিম, আবুল কালাম, ইসরাফিল হোসেন, সাজু, সামছুদ্দিন সুমন, আবদুর রব, আরিফ ও রহমত উল্লাহসহ অজ্ঞাত আসামিরা দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে।

এরপর তার স্বামীকে মারধর করে পাশের কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। একপর্যায়ে তারা ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে রাজি না হলে তারা তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালায় এবং মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে।

এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা কাউকে কিছু জানালে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। আসামিরা চলে যাওয়ার পর কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ জেলা শহর মাইজদীতে বোনের বাড়ি আশ্রয় নেন।

সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে আসামিরা তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে রোববার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন

গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন : দেলোয়ার দুদিনের রিমান্ডে

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: