মাদরাসাছাত্রীর সঙ্গে মুঠোফোনে পরিচয় হয় রবিউল আউয়ালের। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে কৌশলে উঠিয়ে নিয়ে যায় রবিউল। বিয়ের নাটক করে আবাসিক হোটেলে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে রবিউল আউয়াল। পরে টয়লেটে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায় রবিউল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি রবিউলের। ওই ছাত্রীর মামলায় কারাগারে যেতে হয়েছে তাকে। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায়।
এদিকে আটকের পর বুধবার পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেফতার রবিউল আউয়াল মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা থানার হায়দারাবাদ গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।
মামলার অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাঙ্গরা থানার একটি মাদরাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে মুঠোফোনে পরিচয় হয় রবিউলের। পরিচয়ের সূত্রধরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর বাজারে দেখা করতে এলে ওই মাদরাসাছাত্রীকে কৌশলে একটি প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের একটি বাড়িতে যায় রবিউল আউয়াল। সেখানে সে মেয়েটিকে জোরপূর্বক বিয়ের চেষ্টা করে। এতে সম্মতি দেয়নি ওই শিক্ষার্থী। পরে একটি নোটারি পাবলিকের কাগজে স্বাক্ষর নেয়া হয়। পরদিন রবিউল ওই ছাত্রীকে নিয়ে যায় সিলেটে। সেখানে একটি মাজার সংলগ্ন এক আবাসিক হোটেলে নিয়ে ওই ছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাসে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে ওই মাদরাসাছাত্রী বাথরুমে গেলে তাকে বাইরে থেকে আটকে দেয়। এরপর তার হাতব্যাগে থাকা স্বর্ণের একজোড়া কানের দুল, গলার চেইন ও মোবাইল সেট নিয়ে পালিয়ে আসে রবিউল। পরে ওই স্কুলছাত্রীর চিৎকারে হোটেলের লোকজন কক্ষে গিয়ে তাকে বের করেন।
এ ঘটনায় বুধবার সকালে মাদরাসাছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণ ও চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রবিউলকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি আজমউদ্দিন মাহমুদ বলেন, অভিযুক্ত ধর্ষণকারী রবিউল আউয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
টাইমস/জেকে