মেয়রপ্রার্থীকে কুপিয়ে হত্যা : অগ্নিসংযোগ-ভাংচুর, থমথমে গৌরীপুর

ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার পানমহালে গণসংযোগকালে শনিবার সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন মাসুদুর রহমান শুভ্র। তিনি উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান। হামলায় গুরুতর আহত অপর দু’জন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনার পর থেকে গৌরীপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পৌর মেয়রসহ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ-ভাংচুর চালানো হয়েছে।
 
ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মইলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র (একাংশের) যুগ্ম আহবায়ক রিয়াদুজ্জামান রিয়াদকে রোববার ভোরে তারাকান্দা উপজেলার হারিগাছা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও মইলাকান্দার কাউরাট এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর আলম, রাসেলসহ মোট ৪ জনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৌরীপুর থানার ওসি মোঃ বোরহান উদ্দিন।
 
ঘটনার পর থেকে পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শহরের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ফাাঁসির দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি এক পর্যায়ে গৌরীপুর থানা ঘেরাও করে হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানায়।
 
অপরদিকে নান্দাইল স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের ত্রিশালে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের খবর পাওয়া গেছে।
 
বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামের বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, তার ভাই সৈয়দ তৌফিকুল ইসলামের বাড়ি, ছোট ভাই সৈয়দ মাজহারুল ইসলাম জুয়েলের ফার্ণিচারের দোকান, উপজেলা বিএনপির একাংশের আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ ও তার ভাই মইলাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াদুজ্জামান রিয়াদ ও তাদের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অভিযোগ সংযোগ, ভাংচুর করেছে। হামলাকারীরা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ রফিকুল ইসলাম ও প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন চন্দনের বাসা-বাড়িতেও হামলা ও ভাংচুর চালায়।
 
জানা গেছে, পান মহালের আব্দুর রহিমের চায়ের দোকানে মাসুদুর রহমান শুভ্রসহ তারা ৪/৫জন চা খাচ্ছিলেন। এ সময় দু’টি সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে ৮/১০ জন এসে মাসুদুর রহমান শুভ্র’র ওপর আক্রমণ চালায়। শুভ্র বাঁচার জন্য দৌড়ে মসল্লা মহালের সুমিত্রা মেডিকেল হলের সামনে যেতেই এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। শুভ্র’র সঙ্গে থাকা আল আমিন ও জাহাঙ্গীরকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাসুদুর রহমান শুভ্র মৃত্যুবরণ করেন।
 
 
টাইমস/জেকে

Share this news on: