বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় কলেজছাত্রীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় ঢাকার শাহবাগে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনকারী তিতুমীর কলেজের ছাত্র সাজ্জাদ গাজীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সাজ্জাদ তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী। তিনি আগৈলঝাড়া উপজেলার আমবৌলা গ্রামের খোরশেদ আলম গাজীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সকালে নির্যাতনের শিকার ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে দুপুরে সাজ্জাদকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাহাবুব আলম খান গণমাধ্যমকে জানান, কলেজ ছাত্রীর বাবা মারা যাওয়ার পরে আর্থিক অনটনের কারণে তার মা বন্দরে ঝাড়ুদারের কাজ করেন। সে কারণে ওই বন্দরে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে দুই মেয়েসহ বসবাস করে আসছিলেন তিনি।
ভিকটিম তরুণী একটি কলেজে পড়াশুনা করছেন। ৬ মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে সাজ্জাদ গাজীর সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের জেরে সাজ্জাদ ওই মেয়ের বাড়িতে আসা যাওয়া করত। আসা যাওয়ার সুযোগে সাজ্জাদ ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
গত সোমবার সন্ধ্যায় তরুণীর মা হঠাৎ বাড়িতে ফিরে দেখেন সাজ্জাদ তার মেয়েকে ধর্ষণ করছে। এসময় তরুণীর মা চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে সাজ্জাদকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি গোলাম সরোয়ার গণমাধ্যমকে জানান, ভিকটিম তরুণীকে জবানবন্দি দেয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঢাকায় ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী সাজ্জাদ গত বুধবার গ্রামের বাড়িতে এসেছেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
টাইমস/এসএন