চাঁদের সূর্যালোকিত স্থানে পানির সন্ধান

চাঁদের বুড়ির চরকা কাটার গল্প ছোটবেলায় আমরা অনেকেই শুনেছি, পড়েছি চন্দ্র বিজয়ের কথা। চাঁদ নিয়ে মানুষের যেন কৌতুহলের কোনও শেষ নেই, তাই পৃথিবীর এই একমাত্র উপগ্রহটি নিয়ে অনুসন্ধানও হয়েছে বিস্তর।

দীর্ঘদিন ধরে মনে করা হতো চাঁদ শুধুই মরুভূমি, তবে আধুনিক বিজ্ঞানের বেশ কয়েকটি আবিষ্কার মানুষের সে ধারণা পাল্টে দিয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি চাঁদের শীতল অংশে, যে অংশে সূর্যের আলো পৌঁছায় না সেখানে ভূ-পৃষ্ঠের তলদেশে বরফের অস্তিত্ব রয়েছে।

তবে এবার নাসার সোফিয়া টেলিস্কোপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বলছেন চাঁদের যে অংশে সূর্যের আলো পড়ে সে অংশেও পানির অস্তিত্ব আছে। নাসা চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধে বা পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান অংশে এই পানির অস্তিত্ব শনাক্ত করেছে।

নাসার সাইন্স মিশন ডিরেক্টোরেটের অ্যাট্রোফিজিক্স ডিভিশনের পরিচালক পল হার্তজ এ বিষয়ে বলেন, “আমরা ধারণা করেছিলাম চাঁদের ওই অংশে পানির অস্তিত্ব থাকতে পারে। এখন আমরা নিশ্চিত যে এটি সেখানে রয়েছে। এই আবিষ্কার আমাদেরকে চাঁদের পৃষ্ঠ সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে সহায়তা করবে।”

মহাকাশে পানি একটি অতি মূল্যবান সম্পদ। তবে সোফিয়ার আবিষ্কৃত এই পানি কি সহজেই ব্যবহার করা সম্ভব হবে কিনা সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা।

আর্টেমিস প্রকল্পের অধীনে ২০২৪ সালে চাঁদে প্রথমবারের মতো একজন নারী ও একজন পুরুষকে একত্রে পাঠাতে চলেছে নাসা। তাই এর আগেই প্রতিষ্ঠানটি চাঁদের পানি সম্পর্কে যতটা সম্ভব খোঁজ খবর নিয়ে নিতে চায়। চলতি দশকের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি চাঁদে মানুষের টেকসই অবস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।

চাঁদ পর্যবেক্ষণের জন্য নাসার ব্যবহৃত উল্লেখযোগ্য আধুনিক প্রযুক্তিগুলির অন্যতম সোফিয়া। বোয়িং ৭৪৭এসপি বিমানের উপর ১০৬ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের টেলিস্কোপ বসিয়ে সোফিয়া টেলিস্কোপটি তৈরি করা হয়েছে। এটি ভূ-পৃষ্ঠের ৪৫,০০০ ফুট উপর থেকে চাঁদকে পর্যবেক্ষণে সক্ষম।

তথ্যসূত্র: নাসার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

টাইমস/এনজে

https://www.nasa.gov/press-release/nasa-s-sofia-discovers-water-on-sunlit-surface-of-moon/

Share this news on:

সর্বশেষ