পাকিস্তান সরকার দেশটির গিলগিত-বালতিস্তানকে অস্থায়ী প্রদেশের মর্যাদা দিয়েছে। ইসলামাবাদের এ সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে ভারত। দিল্লির দাবি, গিলগিত-বালতিস্তান ভারতের ভূখন্ড, যা পাকিস্তান জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে।
গত রোববার (০১ নভেম্বর) বিকালে গিলগিত-বালতিস্তানকে প্রদেশের মর্যাদা দেয়ার ঘোষণা দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
এরপরই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। ‘তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান সরকার বেআইনিভাবে, জোর করে দখলে রাখা ভারতীয় ভূখন্ডের চরিত্রগত পরিবর্তনের যে চেষ্টা চালাচ্ছে, ভারত তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।’
অনুরাগ শ্রীবাস্তব আরও বলেন, ১৯৪৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী, গিলগিত-বালতিস্তান ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যা জোর করে দখল করে রেখেছে পাকিস্তান। ওই অঞ্চলের কোনো কিছুর ওপর পাকিস্তানের অধিকার নেই। ইসলামাবাদ যা শুরু করেছে তা মানবাধিকার লঙ্ঘন। পাকিস্তান দিনের পর দিন গিলগিত-বালতিস্তানের মানুষদের স্বাধীনতা খর্ব করে চলেছে।
এদিকে রোববার ইমরান খান বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন মেনেই পাকিস্তান সরকার গিলগিত-বালতিস্তানকে বিশেষ প্রাদেশিক মর্যাদা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ উপলক্ষে অঞ্চলটির বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গিলগিত-বালতিস্তানে আসন্ন নির্বাচনের কারণে আপাতত উন্নয়ন প্যাকেজ ঘোষণা করা যাচ্ছে না। নির্বাচন শেষেই এ অঞ্চলের জন্য বিশেষ উন্নয়ন প্যাকেজ ঘোষণা করবে পাক সরকার।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে গিলগিত-বালতিস্তানে প্রাদেশিক আইনসভার নির্বাচন ঘোষণা করে ইসলামাবাদ। সেসময় ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইমরান খান সরকারের ওই উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছিল। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব তখন বলেছিলেন, ‘পাকিস্তান সরকারের ওই পদক্ষেপের কোনও আইনি বৈধতা নেই। গিলগিত-বালতিস্তানে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে ভারতের ’অভ্যন্তরীণ’ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে পাকিস্তান।
কিন্তু ভারতের কোনো আপত্তিই এখন পর্যন্ত কানে তোলেনি পাকিস্তান। সূত্র: পার্স টুডে
টাইমস/এসএন