অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে কমতে পারে শিশু-কিশোরের উচ্চতা

পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে শিশুর বৃদ্ধি মারাত্মক ভাবে ব্যহত হয়। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষকরা বলছেন, পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে শিশু-কিশোরদের উচ্চতা গড়ে ৭.৯ ইঞ্চি পর্যন্ত কম হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ‘দ্যা ল্যানচে ‘ জার্নাল এসব তথ্য দিয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে শিশুদের উচ্চতা এবং ওজন সম্পর্কে জরিপ করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর মধ্য দিয়ে আমরা জানতে পারবো, তারা (শিশুরা) কতটা স্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যেদিয়ে বেড়ে উঠছে। আর শিশুরা কতটুকু পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করছে, সেটাও আমরা জানতে পারবো।

পরে এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গবেষক দলটি বিশ্বজুড়ে ৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী  ৬৫ লাখ শিশুর ওপর চালানো ২০০০টি পূর্ববর্তী অধ্যয়ণ বিশ্লেষণ করেন।  অধ্যয়নগুলো ১৯৮৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যবর্তী সময়ে করা হয়েছে।

গবেষণা দলটির অন্যতম প্রধান গবেষক ড. আদ্রেয়া রোদ্রিগেজ মার্টিনেজ বলেন, ‘শিশুকাল এবং বয়সন্ধিকালের পরিমিত উচ্চতা এবং ওজন গোটা জীবনকে প্রভাবিত করে। আমাদের এই অনুসন্ধান পুষ্টিকর খাদ্যের খরচ কমানো এবং তা সহজলভ্য করার নীতি গ্রহণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। পুষ্টিকর খাদ্য শিশু-কিশোরদের লম্বা হতে এবং পরিমিত ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করে।’

গবেষণায় দেখা গেছে ২০১৯ সালের হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে তুলনামূলক ভাবে উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য ইউরোপের শিশু-কিশোরদের গড় উচ্চতা বেশি। ২০১৯ সালে ১৯ বছর বয়সী সব থেকে লম্বা (৬ ফুট) ছেলের বসবাস নেদারল্যান্ডে।

অন্যদিকে সব থেকে কম উচ্চতার ছেলের বসবাস পূর্ব-তিমুর অঞ্চলে। এছাড়াও গড় হিসেবে দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়া, লাতিন আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়াতে ১৯ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীরা অন্য অঞ্চলের তুলনায় উচ্চতায় খাটো। এই অঞ্চলগুলো অর্থনীতি ও জীবনযাত্রার মানের দিক দিয়েও পিছিয়ে রয়েছে।

অন্যদিকে ওজনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্য এবং নিউজিল্যান্ডের শিশু-কিশোররা তুলনামূলক ভাবে বেশি স্থুল। তবে, বাংলাদেশ ও ভারতের মতো দেশগুলোর ১৯ বছর বয়সীদের অনেকের ওজনই স্বাভাবিকের থেকে কম। তথ্যসূত্র: বিবিসি

 

টাইমস/এনজে/এসএন

Share this news on: