ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাক স্বাধীনতার নামে 'বিচ্ছিন্নতাবাদবিরোধী বিল' নামে মূলত ইসলামপন্থার বিরুদ্ধে ফ্রান্সে নতুন একটি আইন পাস করা হয়েছে। এ নিয়ে ফ্রান্সে নতুন করে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ধর্মকে ট্রার্গেট করেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁর সরকার বিতর্কিত এই বিল পাস করেছে।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) এই বিলের পক্ষে সাফাই বক্তব্য দিয়েছেন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাস্টেক্স।
কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফরাসি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই আইনে ধর্মীয় স্বাধীনতাকে হরণ করা হবে না। ইসলামি চরমপন্থা আদর্শকে ঠেকাতেই এই আইন। এই আইনে মূলত ধর্মীয় উগ্রবাদ থেকে মুক্তি, সুরক্ষা ও স্বাধীনতার জন্য এই আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
ফরাসি গণমাধ্যম ও আল জাজিরার বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদবিরোধী বিল’ এর অধীনে মূলত ফ্রান্সে গোপনে যেসব স্কুল ইসলামি আদর্শ প্রচার করছে, সেগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। এছাড়া হোম স্কুলিং বা গৃহশিক্ষার বিষয়ে নজরদারি করার জন্য এই আইন করেছে ফ্রান্স।
এছাড়া এই আইনে বহুবিবাহ ও মেয়েদের কুমারীত্ব পরীক্ষা করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিধান রাখা হয়েছে। বহুবিবাহ ও কুমারীত্ব পরীক্ষার জন্য শাস্তির বিধানও রয়েছে এই আইনে।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে ৪০ লাখের মতো মুসলিমের বসবাস। যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ৪ শতাংশ। উত্তর ও পশ্চিম আফ্রিকায় মুসলিমপ্রধান সাবেক ফরাসি উপনিবেশ থেকে মুসলিমদের বিরাট অংশ ফ্রান্সে বসবাস করছেন। বিদেশী মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর অনুদানে চলা বিভিন্ন সংগঠন ফ্রান্সে ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিস্তারে কাজ করে যাচ্ছে। আর এটাই মূলত দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁর মাথাব্যথার কারণ।
আর তাই নানা ইস্যু সামনে নিয়ে এসে ম্যাক্রোঁ সরকার ফ্রান্সে মুসলিমদের শিক্ষা-দীক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চাকে বন্ধ করতে চাইছে। যা নিয়ে দেশটিতে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে। এর আগে ২০০৪ সালে ফ্রান্সে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়।
টাইমস/এসএন