বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে রহস্যময় এক লৌহ দণ্ড বা মনোলিথ। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে এই রহস্যময় বস্তুটির সন্ধান পাওয়া গেলেও এরপর এর অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়েছে ফ্রান্স, রোমানিয়া, যুক্তরাজ্য, স্পেন, ফিনল্যান্ড, পোল্যান্ড, জার্মানিসহ বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশে। সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার এডিলেইড অঞ্চলেও একই বস্তুর সন্ধান পাওয়া গেছে। এই নিয়ে ৩ মহাদেশের ১০টি দেশে একইরকম বস্তুর সন্ধান পাওয়া গেল।
স্বাভাবিক ভাবেই অদ্ভুত এই বস্তুটিকে ঘিরে মানুষের মধ্যে জন্ম নিয়েছে কৌতূহল এবং উদ্বেগ। কেউ বলছেন এটি ভিনগ্রহের কোনো প্রাণীর কাজ, কারও মতে এটি ইলুমিনাতি বা অন্যকোনো সংঘবদ্ধ চক্রের কাজ। আবার অনেকের বিশ্বাস এর পেছনে রয়েছে কোনো এক শিল্পী, যিনি তার শিল্পের উপস্থাপনার জন্য এই পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন।
১৮ নভেম্বর সর্বপ্রথম রহস্যময় মনোলিথের দেখা পাওয়া গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের উতাহ প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলে। বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞের মতে, মনোলিথটির গঠন কাঠামোর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য শিল্পী জন ম্যাকক্র্যাকেনের শিল্পকর্মের মিল রয়েছে। জন ম্যাকক্র্যাকেন ২০১১ সালে মৃত্যুবরণ করেন, তাই নিঃসন্দেহে তিনি রহস্যময় এই মনোলিথের সাথে জড়িত নন।
এর ফলে সন্দেহের তালিকায় প্রথমে চলে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের আরেক প্রতিভাবান শিল্পী ম্যাটি মো। কিন্তু ম্যাটি মো’র প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য না দেয়ায় রহস্য ডালপালা মেলতে শুরু করে। এর কিছুদিনের মধ্যেই প্রথম মনোলিথটি হঠাৎ করেই নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। কিন্তু মনোলিথকে ঘিরে জনমনে আগ্রহের কোনো কমতি দেখা যায়নি। বরং এর পেছনে নতুন নতুন ধারণা প্রকাশিত হতে শুরু করে।
এই অদ্ভুত বস্তুটি আবারো একের পর এক বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে দেখা যাওয়ায় ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে রহস্যের জাল। এর পেছনে ঠিক কাদের হাত রয়েছে এবং এর উদ্দেশ্য কি তা এখনো অজানাই রয়ে গেছে।
তথ্যসূত্র: দ্যা ডেইলি মেইল
টাইমস/এনজে/এসএন