ইরানের পর এবার তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যদি ইরান নিষেধাজ্ঞার ধকল কিছুটা সামলে উঠেছে। তবে তুরস্কের ওপর আরোপিত নতুন এই নিষেধাজ্ঞা ইউরোপ ও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বিরুপ প্রভাব তৈরি করতে পারে। এঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ইরান।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনার জেরেই যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোভুক্ত দেশ হয়েও আরেক ন্যাটোভুক্ত দেশ তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন মূলত তুরস্ককে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে জোরপূর্বক ধরে রাখার চেষ্টা করছে।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) নির্বাচনে হেরে গিয়ে বিদায়ের অপেক্ষায় থাকা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর মধ্যদিয়ে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ক্ষমতা গ্রহণের আগেই তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক আরও সংঘাতময় হয়ে উঠল।
এদিকে তুরস্কের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ। তিনি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনৈতিক ও আগ্রাসী আচরণ শুরু করেছে। এভাবে মার্কিন কর্তৃত্ব আর মেনে নেবে না বিশ্ব।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ সংগ্রহ করার মধ্যদিয়ে তুরস্ক ন্যাটো জোটের নীতি পরিপন্থী ও জোট সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। তাই তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের লজিস্টিক ও সমরাস্ত্র খাতকে টার্গেট করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর আগে গত বছর ট্রাম্প প্রশাসন তুরস্ককে এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছিল।
টাইমস/এসএন