নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে উঠা ‘গুরুতর অসদাচরণের’ অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন, অসত্য ও অনভিপ্রেত’ বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে এ ধরণের ভিত্তিহীন, অসত্য ও অনভিপ্রেত অভিযোগ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে যারা, যেভাবে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন, তা মেনে নেয়ার মতো না। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। অপর নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার সংবাদ সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থসংশ্লিষ্ট গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তদন্তের দাবিতে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি মারফত আবেদন করেন বিশিষ্ট ৪২ জন নাগরিক। গত ১৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের অধীনে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের আবেদন দাবি করেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
৪২ জন নাগরিকের পক্ষে রাষ্ট্রপতির কাছে ওই চিঠি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক। যিনি এক সময় ইসির আইনজীবী ছিলেন।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সাবেক উপদেষ্টা ও অবসরপ্রাপ্ত সচিব আকবর আলি খান, অবসরপ্রাপ্ত মহা হিসাব-নিরীক্ষক এম হাফিজউদ্দিন খান, মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী প্রমুখ।
এদিকে বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রশিক্ষণ ব্যয়ে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এধরণের ‘কোনো সুযোগ নেই’। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন’। নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহারের অভিযোগও ‘অসত্য’।
নূরুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচন প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতেই ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। ইভিএম ক্রয়ের সাথে সরাসরি নির্বাচন কমিশন যুক্ত নয়। সুতরাং বিবৃতিতে যে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে তা অযৌক্তিক।
জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে অসদাচরণের অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। সব অসত্য। ২০১৮ সালের নির্বাচন বিদেশি কূটনীতিকরা পর্যবেক্ষণ করেছেন। নির্বাচন নিয়ে কেউ অভিযোগ তোলেননি। গণমাধ্যমও কোনো অভিযোগ করেনি। বরং অনিয়মের কারণে বহু স্থানীয় নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে।
টাইমস/এসএন