দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন থেকে সাত কিলোমিটার দূরে ছেঁড়াদ্বীপ। পর্যটকদের কাছে ছেঁড়াদ্বীপ যেন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। কিন্তু সেন্টমার্টিনের পরিবেশের ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার উদ্দেশ্যে ছেঁড়াদ্বীপে ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের জারি করা এক নির্দেশনায় এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে রোববার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকে সেন্টমার্টিনে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এতে দ্বীপে ঘুরতে যাওয়া দুই হাজারের বেশি পর্যটক পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
ধর্মঘটে একাত্মতা জানিয়েছে সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতি, স্পিডবোট, গামবোট, ইজিবাইক (টমটম), ভ্যানগাড়ি, মোটরসাইকেল, দোকানপাট, বাজার কমিটি, হোটেল-কটেজ মালিক সমিতি ও স্থানীয় জনসাধারণ। রোববার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে সেন্টমার্টিনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে কোস্টগার্ড বলছে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যটকদের জন্য ছেঁড়াদ্বীপে ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সেন্টমার্টিন ভ্রমণের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের দাবি, সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা সাড়ে ১০ হাজার। জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন এলাকায় আরো ৪ হাজার মানুষ বসবাস করছেন এই দ্বীপে। সাড়ে ছয় হাজারের বেশি মানুষের আয়-রোজগারের একমাত্র খাত হলো পর্যটন মৌসুম। বছরের চার মাস দ্বীপের মানুষ পর্যটকদের পরিবহন করে আয়-রোজগারের মাধ্যমে সংসার চালাচ্ছেন।
টাইমস/এসজে/এসএন