ভাতিজীকে বিয়ে করতে না দেয়ায় মা-ভাবীকে খুন

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সৎভাইয়ের মেয়েকে বিয়ে করতে বাধা দেয়ায় নিজের মা ও সৎভাইয়ের স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঘাতক ছায়েদুল হককে আটক করেছে পুলিশ।

নিহতরা হলেন- আবদুল হাইয়ের স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৭০) ও আজিজুল হকের স্ত্রী নুরুন নাহার।

সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের পুজকরা গ্রামের ব্যাপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পুজকরা গ্রামের আজিজুল হকের মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল তারই সৎভাই ছায়েদুল হক ওরফে শিকি। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু কোনও ভাবেই ছায়েদুলকে এমন জঘন্য চিন্তা থেকে নিবৃত রাখা সম্ভব হচ্ছিল না।

সোমবার ছায়েদুল জানতে পারে যে, তার ভাতিজিকে পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে একটি পক্ষ বিয়ের জন্য দেখতে আসবে। এ কথা শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের মা নুরজাহানের সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হয় ছায়েদুল।

একপর্যায়ে ছায়েদুল তার মাকে ছুরিকাঘাত করে। এসময় তার সৎভাইয়ের স্ত্রী তাকে নিবৃত করতে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে ছায়েদুল। এসময় স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

নাঙ্গলকোট থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ছায়েদুল হককে আটক করা হয়েছে। দুজনের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: