গর্ভনিরোধক পিল সম্পর্কে আমাদের সমাজে অনেক ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত রয়েছে। এই সব ভুল ধারণার কারণে অনেকের মাঝেই এসব পিল গ্রহণে অনীহা দেখা দেয়, যা ফলে অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণের ঘটনা ঘটে।
এসব ভুল ধারণা সম্পর্কে ভারতের ফোর্টিস হিরানান্দানি হসপিটালের কনসাল্টেন্ট গাইনোকোলজিষ্ট ড. নেহা বোথারার মতামত তুলে ধরা হলো-
গর্ভনিরোধক পিল মানেই তা ওজন বাড়িয়ে দেয়
প্রথম প্রজন্মের গর্ভনিরোধক পিল গ্রহণের ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিত। কিন্তু বর্তমানে প্রচলিত নতুন ফর্মুলায় তৈরি পিল সমূহে এ জাতীয় সমস্যা দেখা দেয় না। বরং নতুন গর্ভনিরোধক পিলগুলি পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম রয়েছে এমন ব্যক্তিদের ওজন কমাতে সহায়তা করে।
গর্ভনিরোধক পিলের ফলে ব্রণ হতে পারে
নতুন ফর্মুলায় তৈরি গর্ভনিরোধক পিলগুলিতে ভিন্নধর্মী প্রজেস্টেরন যৌগ ব্যবহার করা হয়, যা টেস্টোস্টেরন নিঃসরণ কম করে। ফলে এতে করে ব্রণ হওয়া বা মুখমন্ডলের মতো অনাকাঙ্খিত স্থানে চুল গজানোর সমস্যা হয় না।
এক বা একাধিক পিল গ্রহণ করতে ভুলে গেলে কোনো সমস্যা হয় না
এটি মারাত্মক ভুল ধারণা। আপনি চক্রের (সাইকেল) মধ্যে এক বা একাধিক পিল গ্রহণ করতে ভুল করলে এর ফলে অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ হতে পারে। তাই পিল গ্রহণে ভুল হয়ে গেলে অবশ্যই গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নিন।
গর্ভনিরোধক পিল গর্ভধারণের ক্ষমতা হ্রাস করে
গর্ভনিরোধক পিল গ্রহণের ফলে গর্ভধারণের ক্ষমতা কমে যায় এই দাবির পক্ষে কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় না। গর্ভধারণের পিল সাময়িক ভাবে গর্ভধারণ রোধ করে মাত্র।
গর্ভনিরোধক পিল গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শের দরকার নেই
গর্ভনিরোধক পিল সাধারণত নিরাপদ, কিন্তু আপনার দেহে অন্তর্নিহিত কোনো সমস্যা থেকে থাকলে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
তাই গর্ভনিরোধক পিল গ্রহণের আগে অবশ্যই গাইনোকোলজিস্ট বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করতে হবে। তিনি আপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে কোনো ঝুঁকি আছে কিনা তা নির্ধারণ করবেন এবং কোন পিলটি আপনার জন্য কার্যকর হবে তা নির্ধারণ করে দেবেন। তথ্যসূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
টাইমস/এনজে