যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা, স্বামীর ফাঁসি

কিশোরগঞ্জে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা ও লাশ গুম করার দায়ে ছোটন মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। আর অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মামলার অপর চার আসামিকে খালাস দেয়া হয়।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কিশোরগঞ্জ ১নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কিরণ শংকর হালদার এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ছোটন মিয়া নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার ঘাটুয়া পশ্চিমপাড়ার আবদুর রহমানের ছেলে। রায়ের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য স্ত্রী হাফসা খাতুনকে মারধর করতেন ছোটন মিয়া। বিয়ের দুই বছরের মাথায় ২০০৫ সালে ৭ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন তিনি। টাকা দিতে না পারায় অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। ২০০৫ সালের প্রথম দিকে হাফসাকে পিটিয়ে বাঁ পা ভেঙে দেয় ছোটন। পরে তাঁর বড় ভাই তামজিদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ২০০৫ সালের ৭ মে চিকিৎসার কথা বলে হাফসাকে তাঁর স্বামী নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।

এর দুই সপ্তাহ পর হাফসার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে হাফসাকে পাননি বড় ভাই তামজিদ। তাঁকে জানানো হয়, ময়মনসিংহে চিকিৎসা করিয়ে হাফসাকে গোবিন্দশ্রী গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাখা হয়েছে। সেখানে গিয়েও তামজিদ তাঁর বোন হাফসার দেখা পাননি। পরে ২৪ মে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার বরশিকুড়া এলাকার চরে হাফসার লাশ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় ২৬ মে তামজিদ বাদী হয়ে বোনের স্বামী ছোটন, শ্বশুর ইসলাম উদ্দিন, স্বজন রোকন, কুসুম উদ্দিন, আবদুল মান্নাফ ও আবদুর রহমানকে আসামি করে ইটনা থানায় মামলা করেন। মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এই রায় দেওয়া হয়।

 

টাইমস/এসজে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ