ভারতে গণধর্ষণের শিকার বাংলাদেশি তরুণী দেশে ফিরে এসেছেন। দেশে ফিরেই তিনি মানবপাচার আইনে টিকটক হৃদয় ও তার সহযোগীদের নামে মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে চাঞ্চল্যকর ও ভয়ঙ্কর সব তথ্য দিয়েছেন ওই তরুণী।
মামলার এজাহারে তরুণী জানান, টিকটকের মাধ্যমে পাচারকারী চক্রটির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এই চক্রের মাধ্যমে প্রায় দেড় হাজার নারী ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পাচারের শিকার হয়েছেন।
চক্রটির মূলহোতা ‘টিকটক হদয় বাবু’ সম্প্রতি ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি ঢাকার মগবাজারে বসবাস করতেন।
ওই তরুণীর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার সকালে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ভারতফেরত পাচার হওয়া ও গণধর্ষণের শিকার তরুণী পুলিশকে ভয়ঙ্কর তথ্য দিয়েছে। মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে তরুণীর দায়ের করা মামলায় ১২ জনকে আসামিও করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি আসামিদের কয়েকজন ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছে।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে নারায়ণগঞ্জের এডভেঞ্চার ল্যান্ড পার্কে ৭০-৮০ জনকে নিয়ে ‘টিকটক হ্যাংআউট’ এবং ২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের আফরিন গার্ডেন রিসোর্টে ৭০০-৮০০ জন তরুণ-তরুণীকে নিয়ে পুল পার্টির আয়োজন করে ‘টিকটক হৃদয় বাবু’। এভাবেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিতি পান তিনি।
এ বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ায় বাউল লালন শাহ’র মাজারে আয়োজিত টিকটিক হ্যাংআউটে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আন্তর্জাতিকভাবে সক্রিয় এই মানব পাচারকারীর চক্রের অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় ওই তরুণীকে ভারতে পাচার করে দেয় টিকটক হৃদয়।
টাইমস/এসএন