এক হাজারের বেশি নারীকে ভারতে পাচার করেছেন মেহেদি হাসান বাবু (৩৫)। দুর্ধর্ষ এই মানবপাচারকারীকে গ্রেপ্তারের পর চাঞ্চল্যকর আরও তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে মেহেদি হাসান বাবুসহ তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভারতে পাচারের পর গণধর্ষণের শিকার তরুণীর মানবপাচার আইনের মামলার পরই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মেহেদি হাসান বাবু, মহিউদ্দিন ও আবদুল কাদের।
আরও দেখুন- ভারতে তরুণী গণধর্ষণ: ‘টিকটক হৃদয়’ চক্রের ভয়ঙ্কর তথ্য দিলেন ভিকটিম
ভারতে গণধর্ষণের শিকার তরুণী সম্প্রতি দেশে ফিরে মামলা করলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে মঙ্গলবার সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মেহেদি হাসান ওই কিশোরীসহ এক হাজারের বেশি নারীকে ভারতে পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পুলিশের কাছে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তার মেহেদী ও তার সহযোগীরা।
বুধবার (২ জুন) সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেপ্তার অপর দুই আসামি মহিউদ্দিন ও আবদুল কাদের মামলার বাদী ভুক্তভোগী তরুণীসহ অন্তত পাঁচ শতাধিক নারীকে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি কক্ষে আটকে রাখতে সহায়তা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী নারীদের মোটরসাইকেলের মাধ্যমে সীমান্তে মানবপাচারকারীদের হাতে তুলে দিতো গ্রেপ্তার তিনজন। তারা বিষয়টি স্বীকার করেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশি তরুণীকে যৌন নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ভারতে নারী পাচার হওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে। ভিকটিম তরুণী কৌশলে দেশে ফিরে এসে গত বৃহস্পতিবার রাতে হাতিরঝিল থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মানবপাচার ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় এ পর্যন্ত কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এছাড়া মামলার প্রধান আসামি ‘টিকটক হৃদয় বাবু’ ভারতীয় পুলিশের হাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।
টাইমস/এসএন