পরকীয়ার সন্দেহে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালায় মেহজাবিন

রাজধানীর কদমতলীতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মা-বাবা ও বোনকে হত্যার ঘটনায় ঘাতক মেহজাবিন ইসলাম মুনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অল্পের জন্য তার স্বামী ও সন্তান বেঁচে গেছেন। ছোট বোনের সঙ্গে স্বামীর পরকীয়া রয়েছে বলে বাবা-মায়ের কাছে অভিযোগ দেয়ার পরই তিনি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেন বলে জানা গেছে।

রাজধানীর কদমতলী থানা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে মেহজাবিনকে আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বাবা, মা ও বোনকে অজ্ঞান করে মেহজাবিন। পরে তাদেরকে একে একে শ্বাসরোধে হত্যা করে সে। নিজের স্বামী ও সন্তানকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ালেও তারা অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন।

ঘাতকের চাচাতো বোন গণমাধ্যমকে বলেন, মেহজাবিন তার পরিবারের সবাইকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। সে তার প্রথম স্বামীকেও খুন করেছিল। সেই মামলায় তার পাঁচ বছরের জেল হয়েছিল। মেহজাবিনের সঙ্গে তার বাবা-মা ও বোনও কারাভোগ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, গত দুদিন আগে স্বামী সন্তানকে নিয়ে মায়ের বাড়িতে বেড়াতে আসে মেহজাবিন। এসেই তার ছোট বোন জান্নাতুলের সঙ্গে তার তার স্বামীর পরকীয়া রয়েছে বলে বাবা-মার কাছে অভিযোগ করে। এ নিয়ে অনেক কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরেই সে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঘাতক মেহজাবিনের প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, জায়গা-জমি নিয়েও পরিবারের সঙ্গে বিরোধ ছিল মেহজাবিনের। সম্পত্তি লিখে দেয়ার জন্য বাবা-মাকে অনেক চাপ দিত। এ নিয়ে এর আগেও তাদের পারিবারিক বৈঠক-শালিস হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, মেহজাবিন তার বাবা-মা ও বোনকে হত্যা করে ৯৯৯ এ কল করে। এ সময় তিনি বলেন, ‘আপনারা দ্রুত না আসলে আমি আমার স্বামী ও সন্তানকে খুন করে ফেলব।’

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: