রাজধানীর কদমতলীতে মা, বাবা ও বোনকে হত্যার ঘটনায় আটক মেহজাবিন ইসলাম মুন ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ১২টার দিকে মামলাটি দায়ের করেন হত্যার শিকার মাসুদ রানার বড় ভাই শাখাওয়াত হোসেন।
রবিবার (২০ জুন) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহমেদ। পুলিশ জানায়, মেহজাবিন কৌশলে বাসার সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর সবাই অচেতন হয়ে যায়। এরপরই সকলের হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধে। পরে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
শাহ ইফতেখার আহমেদ আরও বলেন, ‘মেহজাবিনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, বাবা না থাকায় তার মা তাকে এবং তার ছোট বোনকে (নিহত জান্নাতুল) দিয়ে দেহ ব্যবসা করাত। এসব নিয়ে প্রতিবাদও করেছিল সে, কিন্তু কোনো ফল হয়নি। এর মধ্যে তার স্বামী ছোট বোনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ নিয়ে বাবা-মায়ের কাছে অভিযোগও করেন। সেই জের ধরেই তিনি বাবা-মা, ছোট বোনকে নারকীয়ভাবে হত্যা শেষে ৯৯৯ এ কল দিয়ে নিজেই হত্যা করার কথা জানান।
এর আগে শনিবার সকালে জুরাইনের মুরাদপুরে একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী ইসলাম (৪০) ও মেয়ে জান্নাতুলের (২০) লাশ উদ্ধার করা হয়। অচেতন অবস্থায় মেয়ের জামাই শফিকুল ইসলাম ও নাতনি তৃপ্তিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
টাইমস/এসজে