মাহফুজ আনাম : মুক্তিযোদ্ধা থেকে সম্পাদক

বাংলাদেশের মুক্ত গণমাধ্যম আন্দোলনের অগ্রপথিক মাহফুজ আনাম। স্বাধীন গণমাধ্যমের দাবিতে সদা সোচ্চার তিনি। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের সকল অধিকার আদায় ও জনমুখী তৎপরতায় মাহফুজ আনাম একজন প্রথম সারির যোদ্ধা। প্রয়াত রাজনীতিবিদ ও প্রখ্যাত সাহিত্যিক আবুল মনসুর আহমেদের পুত্র এই মাহফুজ আনাম। যে কারণে সাহিত্য মিশে আছে তাঁর রক্তে। তিনি বেশ কয়েকটি সাহিত্য রচনাও করেছেন।

বর্তমানে তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত দেশের শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক ‘দি ডেইলি স্টার’ এর প্রকাশক ও সম্পাদক। মাহফুজ আনাম আরেক শীর্ষ বাংলা দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাতা প্রকাশক ছিলেন। এছাড়া তিনি বিনোদন পত্রিকা পাক্ষিক আনন্দধারা এবং সাপ্তাহিক ২০০০ পত্রিকার প্রকাশক। বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশান নামক একটি বেসরকারি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন মাহফুজ আনাম। এই সংস্থাটি নিউ ইয়র্কভিত্তিক ফোর্ড ফাউন্ডেশনের সহযোগিতাপুষ্ট।

১৯৫০, ১৮ জুন: পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন মাহফুজ আনাম।

১৯৬৭-১৯৭০: সময়কালে পরপর তিন বছর সর্ব-পাকিস্তান বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় পর্যায়ক্রমে করাচি, ঢাকা এবং লাহোরে।

১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধা থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি ৷

১৯৭১: তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৭৩: বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে বিয়ের আগে তিনি ডেইলি অবজারভারে কর্মজীবন শুরু করেন।

১৯৭৪: দ্য বাংলাদেশ টাইমস- এ সহকারী সম্পাদকের পদে যোগ দেন।

১৯৭৬: জেফারসন ফেলো নির্বাচিত হন ইস্ট ওয়েস্ট সেন্টার, হনলুলু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায়।

১৯৭৭-১৯৯০: তিনি জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন ইউনেস্কোর বিভিন্ন পদে কাজ করেন।

১৯৯০: ইউনেসকো থেকে রিজাইন করেন মাহফুজ আনাম।

১৯৯১: ডেইলি স্টার পত্রিকার সঙ্গে পথচলা শুরু করেন। সেসময় সাহসী প্রতিবেদনের কারনে সমাজের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীদের রোষানলে পড়েন তিনি। কিন্তু তিনি কখনো দমে যাননি।

২০০৭: সিলে অনুষ্ঠিত সংগঠনের বোর্ড সদস্যদের একটি বৈঠকে এনাম এশিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক (এএনএন) এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মাহফুজ আনাম।

 

Share this news on: