ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি গণতামাশা ছাড়া কিছু না: কাদের

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানির কঠোর সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানির বিচারপতি হিসেবে যখন ড. কামাল হোসেনের নাম আসে, তখন এটা গণশুনানির নামে গণতামাশা ছাড়া কিছু না।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ‘অনিয়ম’ নিয়ে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি গণশুনানি করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বুধবার এ তথ্য জানিয়েছিলেন ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও জেএসডির সভাপতির আ স ম আবদুর রব। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়েই কথা বললেন ওবায়দুল কাদের।

শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের ওই নেতা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের মামলা নিয়েও কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছি, একটি রাজনৈতিক দল যখন আন্দোলনেও পরাজিত হয়, নির্বাচনেও পরাজিত হয়, তখন তাদের সামনে নালিশ ও মামলা ছাড়া অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার আর কোনো পথ খোলা থাকে না। এসব করে হতাশ কর্মীদের চাঙা রাখাই হলো তাদের উদ্দেশ্য। এ ছাড়া তো আর কোনো অবলম্বন নেই, আর কোনো পুঁজিও নেই। এখন মামলা, নালিশই তাদের সম্পদ।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা হচ্ছে, এতে অসুবিধা কোথায়? আমরা মামলা মোকাবিলা করব।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তৃণমূলের অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখে তদন্ত করেই রদবদল করা হয়েছে। তবে এর সংখ্যা বেশি নয়, চার-পাঁচটি।

দেশ এখন পুলিশি রাষ্ট্র বলে মন্তব্য করেছিলেন ১৪ দলের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষোভ-দুঃখ থেকে তিনি এ কথা বলতে পারেন। তবে রাশেদ খান মেননের এ বক্তব্যের ব্যাখ্যা তিনি জানেন না।

আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সম্পর্কে তিনি বলেন, কাউন্সিল ঠিক সময়ে হবে। অক্টোবরের ২৩ তারিখে আমাদের জাতীয় সম্মেলন হয়। অক্টোবরেই সম্মেলন করার চিন্তাভাবনা আছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে তার কথা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুব, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ–বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।

টাইমস/ কেআরএস

Share this news on:

সর্বশেষ