বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত

প্রতিবছরের মতো এ বছরও বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হয়েছে। বিশ্ব পর্যটন দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটন’।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথকভাবে বাণী প্রদান করেছেন। সকাল ৯টায় শেরেবাংলা নগরের পর্যটন ভবনে কুকিং শো’র আয়োজন করেছে। এছাড়া ভ্রমণপিপাসুদের জন্যে দেশের পর্যটন হোটেল-মোটেলগুলোতে একদিনের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করেছে পর্যটন করপোরেশন।

সকাল সাড়ে ৯টায় পর্যটন ভবনে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প নিয়ে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। এছাড়াও বিশেষ এই দিনটিতে দেশের পর্যটনের বিকাশে ঘোড়ার গাড়ির র‍্যালির আয়োজন করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের পর্যটন শিল্প কোভিড-১৯ মহামারির এই সময়ে একটি বিশেষ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ এর কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলোর একটি পর্যটন শিল্প। বাংলাদেশও বৈশ্বিক এই পরিস্থিতির বাইরে নয়। এই মহামারির কারণে দীর্ঘদিন আমাদের পর্যটন স্পট ও এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখতে হয়েছিল। গতবছর এই সময়ে সংক্রমণের হার বেশি থাকায় বিশ্ব পর্যটন দিবসের সব কর্মসূচি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আয়োজন করতে হয়েছিল।

বর্তমানে দেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ কমার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। অভ্যন্তরীণ পর্যটকেরা আগ্রহের সাথে বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ভ্রমণ করার কারণে ধীরে ধীরে দেশের পর্যটন শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এতে গতি ফিরছে দেশের পর্যটন শিল্পে। তাই এ বছরের বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন পর্যটনকে দেশি-বিদেশি পর্যটকের সামনে তুলে ধরা ও তাদের এ সম্পর্কে জানানোর একটি বিশেষ সুযোগ।

Share this news on:

সর্বশেষ