৩০০ ফিট সড়ক যেভাবে ১৪ লেনে বদলে যাচ্ছে, সরাসরি ড্রোনে।
এই প্রথম বাংলাদেশে এত বড় সড়ক নির্মাণ হচ্ছে।
শুধু সড়ক নয় সড়কের দুই পাশে আরো ১০০ ফুট খাল। যা দৃষ্টিনন্দন করবে চলার পথ। বলা হচ্ছে হাতিরঝিলের সৌন্দর্য ছাড়িয়ে যাবে বর্তমান ৩০০ ফুড সড়ক বা পূর্বাচলের এই সড়ক।
রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী উজ্জ্বল মল্লিক বাংলাদেশ টাইমসকে জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বরে এই সড়কে চলাচল উপযোগী করা হবে। আর ২০২২ সালের জুনে এই সড়কটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা দেয়া হবে।
আরো দুমাস আগে কার্পেটিং কাজ হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা এবং বৃষ্টি বাদলের কারণে কাজ পিছিয়েছে।
রাজউকের এই প্রকৌশলী জানান, কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার ১৪ লেন এবং বালু নদী থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত বাকি ৪ কিলোমিটার ১২ লেন নির্মাণ করা হবে।
কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার ১৪ লেন। আর বাকি চার কিলোমিটার ১২ লেনের সড়ক পথ।
এখন যে কাজ চলছে তাতে ৩০০ ফুট সড়ক ও আশপাশের এলাকার পুরো চিত্রই বদলে যাবে।
প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি টাকায় নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম ১৪ লেনের সড়ক পথ। সেই সঙ্গে আরও প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চলছে এই সড়কের দুই পাশে খাল প্রকল্প।
সব মিলিয়ে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি।
আর এর মাধ্যমে রাজধানীতে প্রবেশের একটি নিরবচ্ছিন্ন সড়ক পথ তৈরি হয়ে যাচ্ছে। যে সড়কে যানবাহন সর্বোচ্চ গতিতে চলতে পারবে। আন্ডারপাস আর ইন্টারসেকশনের মাধ্যমে সড়কের এক পাশ থেকে আরেক পাশে চলাচল নিয়ন্ত্রিত হবে।
এছাড়া এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচলের জন্য ১০টি বড় সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। হাতিরঝিলের আদলে ১৩টি আর্চ ব্রিজ (বাঁকানো সেতু) নির্মাণ করা হবে। এক্সপ্রেসওয়ের পাশের এলাকার লোকজন যাতে গাড়ি নিয়ে সার্ভিস লেন থেকে মূল সড়কে ঢুকতে পারেন, সে ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া পাতালপথ থাকবে চারটি।
কুড়িল থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত ট্রাফিক সিগন্যাল ছাড়াই যানবাহন দ্রুত গতিতে চলাচল করতে পারবে। মাত্র ১০ মিনিটে ঢাকার কুড়িল থেকে নারায়ণগঞ্জে কাঞ্চন এলাকায় যাওয়া যাবে। সেখান থেকে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে যুক্ত হওয়া যাবে।