সিঙ্গাপুরের আদলে বদলে যাওয়া চিড়িয়াখানা দেখতে কেমন হবে?

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানাকে সিঙ্গাপুর চিড়িয়াখানার আদলে গড়ে তোলা হবে। নতুন মাস্টারপ্ল্যানে ঢেলে সাজানো হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা।

মিরপুর চিড়িয়াখানায় খাঁচাবন্দি প্রাণীদের মুক্ত পরিবেশে বিচরণের সুযোগ তৈরি করছে কর্তৃপক্ষ। প্রাণীদের বিচরণের জন্য খাঁচার বদলে থাকবে বন্য পরিবেশ। দৃষ্টিনন্দন এই পরিবেশ গড়ে তোলার কাজ শুরু হতে পারে আগামী বছরই।
চিড়িয়াখানার পরিচালক আব্দুল লতিফ বাংলাদেশ টাইমসকে বলেন, সিংগাপুর চিড়িয়াখানার আদলে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা মাস্টারপ্ল্যান হতে যাচ্ছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই আশা করা যায় এই চিড়িয়াখানার মাস্টারপ্ল্যান হাতে পাবো। এছাড়া রংপুর চিড়িয়াখানাও এর আওতায় আনা হয়েছে।

এ মহাপরিকল্পনা তৈরির কাজ করছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সিংগাপুর ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বার্নার্ড হ্যারিসন অ্যান্ড ফ্রেন্ডস লিমিটেড। এই কোম্পানির টিম লিডার বার্নার্ড হ্যারিসন নিজেই মূল দায়িত্বে রয়েছেন। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে বসবাসরত ব্রিটিশ নাগরিক বার্নার্ড হ্যারিসন। এই মহাপরিকল্পনার ৪০ ভাগ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এই চিড়িয়াখানাটিকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হবে।

কীভাবে চিড়িয়াখানাটিকে সাজানো হবে?
বাংলাদেশ কেন্দ্রিক যে সমস্ত প্রাণী আছে সেগুলোকে ‘বাংলাদেশ হ্যাবিটেট’, আফ্রিকাকেন্দ্রিক প্রাণীগুলোকে ‘আফ্রিকান হ্যাবিটেট’, ‘পেট অ্যানিমেল’ ও ‘অ্যাক্টিভ জোন’ নামে আলাদা আলাদা সেক্টরে রাখা হবে।
৩৬ ও ২৭ একর আয়তনের দুইটি লেককে ভাসমান রেস্তোরা করা হবে। সেখানে বার্ড শো এবং ডলফিন শো করা হবে। ১৮৬ একর আয়তন বিশিষ্ট এই চিড়িয়াখানার সীমানা দেয়ালে পাইলিং সিস্টেম করা হবে যেন বাইরে থেকে কোন সুয়ারেজ লাইন প্রবেশ করতে না পারে। বাফার জোন ও ওয়াকওয়ে তৈরি করা হবে।
চিড়িয়াখানার পরিচালক আরো জানান, তিনটা ধাপে পাঁচ বছর করে এ কাজটি বাস্তবায়ন হবে । আশা করা যায় আগামী ডিসেম্বরে যদি পূর্ণাংগ মাস্টারপ্ল্যানটা পাওয়া যায় তাহলে পরবর্তীকালে সরকারের কাছে অর্থ চাওয়া হবে। হয়তো তিনটা ধাপে, পাঁচ বছর করে এ কাজটি বাস্তবায়ন হবে, কারণ চিড়িয়াখানাটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রেখে কাজ করা যাবেনা।

তিনি আরো জানান, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মাস্টারপ্ল্যানটি হাতে পেলে এরপর উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) করা হবে। মহাপরিকল্পনাটি ফাইনাল করা হলে এর পেছনে কত টাকা লাগবে এর একটি হিসাব দেয়া হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী অনুমোদনন পেলে কাজ শুরু হবে।

১৯৭৪ সালে ১৮৬ একর জায়গার ওপর গড়ে ওঠে দেশের সবচেয়ে বড় এই মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা। এই পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে জাতীয় চিড়িয়াখানা হয়ে উঠবে বিনোদনের অন্যতম আকর্ষণ, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।


Share this news on: