একদিনের বন্যায় লালমনিরহাটের প্রায় ২শ' কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে গেছে পাকা সড়ক, সেতু, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। ভেসে গেছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমির ফসল, শতাধিক ঘরবাড়ি ও গবাদিপশু। এখনো স্বাভাবিক হয়নি জনজীবন। তবে সব ক্ষতি সরকার পুষিয়ে দেবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
গত মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে তিস্তা ব্যারেজে পানি বেড়ে যায় সাড়ে ছয় ফুট পর্যন্ত। বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে কিছুটা জলোছ্বাসের মত প্রবল বেগে আসা পানিতে মুহুর্তেই বিধ্বস্ত হয় তিস্তাপাড়ের জনজীবন।
আকস্মিক বন্যায় ৯৩ কিলোমিটার পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত, দুটি সেতু বিলীন ও তিনটি সেতুর বাইপাস সড়কসহ কাকিনা-রংপুর বাইপাস সড়ক ধসে গিয়ে ক্ষতি হয়েছে ৫৫ কোটি টাকা। ২৩ কিলোমিটার নদী তীর বিলীন ও একটি স্পারসহ আড়াই কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ধসে গিয়ে ক্ষতি হয় আরো ২০ কোটি টাকার।
প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হওয়ায় কৃষি বিভাগের ক্ষতির পরিমাণ ৩০ কোটি টাকা। ৯৭০টি পুকুর, বিল, জলাশয়ের সব মাছ ভেসে গেছে, এর ক্ষতি চার কোটি টাকা। ঘরবাড়ি, মসজিদ-মন্দির কবরস্থানসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর ক্ষতি প্রায় ৭০ কোটি। এছাড়াও ভেসে গেছে অসংখ্য গবাদিপশু ও তাদের খাবার।