বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ এবার নেতৃত্বের ভূমিকা নেবে বলে আশা করেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেয়া অ্যাকশন প্লান ঠিক পথেই আছে বলেও মনে করেন তিনি।
আর জলবায়ূ বিশেষজ্ঞ ডক্টর আতিক রহমান বলেন, এবারের সম্মেলন থেকে একশ বিলিয়ন নয় বরং পাঁচশ বিলিয়ন ডলারের সহায়তার প্রতিশ্রুতি আদায় করার পরিকল্পনা করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন কপ ২৬। সম্মেলনে যোগ দেবেন বিশ্বনেতারা। সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরন কমানো এবং জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতির মুখে পড়া দেশগুলো ক্ষতিপূরণ চাওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হবে।
ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট ডিকসন বলেন, বাংলাদেশের কাছ থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কিভাবে মোকাবিলা করতে হয় তা শিখতে পারে সারাবিশ্ব। রবার্ট ডিকসন আরও বলেন,‘আমাদের মূল প্রত্যাশা যেমনটি আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কার্বন নিঃসরন কমিয়ে আনার বিষয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করা। সারাবিশ্ব বাংলাদেশের কাছ থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কিভাবে কমাতে হয় তা শিখতে পারে। উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত দেশগুলোর জন্য প্রতিশ্রুত ১শ বিলিয়ন ডলারের বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ তাদের কথা গ্লাসগোতে ভালো মতোই বলতে পারবে বলে আশা করছি।
বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চল ডুবছে, পানিতে বাড়ছে লবনাক্ততা যার প্রভাব পড়ছে খাদ্য উৎপাদনে। এই সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ কিভাবে সহায়তা পেতে পারে তার কৌশলগত দিক আলোচনা হবে বলে জানান জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান। এখন পর্যন্ত এই সম্মেলনে অংশগ্রহনে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ভালো বলে জানান তিনি।
