গণপরিবহণ বন্ধের তৃতীয় দিনে পথে পথে ভোগান্তি

ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মতো চলছে পরিবহণ ধর্মঘট। দেশজুড়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।

আজ রবিবার স্বাভাবিক কর্মদিবস হওয়ায় সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান খোলা। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা অফিসে যেতে নির্ধারিত পরিবহণ না পেয়ে পড়েছেন বিপাকে। রাজধানী ও চট্টগ্রামে সীমিত আকারে চলছে গণপরিবহণ। চালক ও সহকারীরা বলছেন, মালিকদের ধর্মঘট চললেও পেটের দায়ে তারা গাড়ি চালাচ্ছেন। আর যাত্রীদের অভিযোগ, সীমিত আকারে গণপরিবহণ চললেও ভাড়া দ্বিগুণ-তিনগুণের বেশি রাখা হচ্ছে।

রাজধানীর ভিতরে বিআরটিসি চললেও তাতে উঠতেও রীতিমতো যুদ্ধ করতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে রিকশা, সিএনজি বা পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে ছুটছে মানুষ। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সিএনজিচালিত অটোরিক্সা আর রিক্সায় ভাড়া গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ-তিনগুণ। সরকারের পক্ষ থেকে পরিবহণ মালিকদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চলছে। আর মালিক পক্ষ বলছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে। এদিকে আজ ভাড়া পুনর্নির্ধারণে বিআরটিএ'র কমিটির বৈঠক হবার কথা।   

বিভিন্ন গন্তব্যে বিআরটিসি বাস চললেও অতিরিক্ত ভিড়ে উঠতেই পারছেন না অনেকে। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে বলতে পারছে না কেউ। সরকারের পক্ষ থেকে পরিবহণ মালিকদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চলছে। আর মালিক পক্ষ বলছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।

গণপরিবহণ মালিকরা ভাড়া সমন্বয়ের দাবি জানালেও জ্বালানির বাড়তি মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে অটল পণ্যবাহী পরিবহণ মালিকরা। বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমেদ মজুমদার বলেন, ডিজেলের দাম বাড়ায় ভাড়াসহ পণ্যে অতিরিক্ত দামের বোঝা জনগনকেই বহন করতে হবে। তাই জনগনের স্বার্থ বিবেচনা করে ডিজেলের বাড়তি মূল্য প্রত্যাহার করতে হবে।

এদিকে, চট্টগ্রাম মহানগরীতে আজ সকাল ৬টা থেকে গণ পরিবহণ চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রোপলিটন পরিবহণ মালিক গ্রুপ। সংগঠনের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল জানান, জণগণকে জিম্মি করে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা লুটের চেষ্টা করছে একটি পক্ষ। তারা সড়ক বন্ধ করে সিএনজি ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলে বাধা দিচ্ছে। জনগণের দুর্ভোগ বিবেচনা করে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।  

Share this news on: