ধর্মঘট থেকে ফিরে কী ইচ্ছেমতো বাস ভাড়া আদায়?

গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানোর ফলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে বাস ও লঞ্চ চলাচলের ঘোষণা দিয়েছেন মালিকরা। 

রবিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীতে কিছু বাস চলাচল শুরু করেছে। পাশাপাশি ঢাকা থেকে ছেড়ে গেছে দূরপাল্লার অনেক বাস।

আজ সোমবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে পুরোদমে নতুন ভাড়ায় বাস ও লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।

এদিকে, ভাড়া বাড়ার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন যাত্রীরা। খিলক্ষেত থেকে ফার্মগেট যাবেন রাকিব। পূর্বের ভাড়া ছিল ১৫ টাকা। আজ তাকে দিতে হয়েছে ২৫ টাকা। নতুন ভাড়ায় তাকে ১০ টাকা বেশি দিতে হয়েছে। এ নিয়ে বাসের কন্ডাক্টর-হেলপারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় তার। 

ক্ষোভে রাকিব বলেন, ‘চাকরিজীবী মানুষের যে বেতন বাড়ছে না, সেটি নিয়ে কেউ কথা বলে না। এমনিতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। তার ওপর আবার যানবাহনের ভাড়া বৃদ্ধি।’ 

এদিকে, লঞ্চের ভাড়া পুনর্নির্ধারণের পর রাত থেকে শুরু হয়েছে লঞ্চ চলাচলও। রাজধানী সদরঘাটসহ বিভিন্ন ঘাট থেকে রাতেই বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায় লঞ্চগুলো। সকালে এসব লঞ্চ নির্দিষ্ট গন্তর্ব্যে পৌঁছায়। লঞ্চের নতুন ভাড়াকেও অস্বাভাবিক বলে উল্লেখ করেছেন যাত্রীরা।

ডিজেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার থেকে দেশজুড়ে বাস-ট্রাক ও শনিবার থেকে লঞ্চ ধর্মঘটের ডাক দেন গণপরিবহন মালিকরা।

গতকাল (রবিবার) কয়েক দফায় সাত ঘণ্টার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বাস ভাড়া নির্ধারণ কমিটির প্রধান ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার। সন্ধ্যায়ই ভাড়া বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।

নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এখন থেকে দূরপাল্লার বাসে এক টাকা ৪২ পয়সার পরিবর্তে প্রতি কিলোমিটারে এক টাকা ৮০ পয়সা ভাড়া নেওয়া হবে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে এক টাকা ৭০ পয়সার বদলে ভাড়া নেওয়া হবে দুই টাকা ১৫ পয়সা। মহানগরে চলা মিনিবাসের ভাড়া এক টাকা ৬০ পয়সার জায়গায় দুই টাকা পাঁচ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই হিসাবে দূরপাল্লার ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে বাসের ভাড়া বাড়ল ২৭ শতাংশ আর মহানগরে ২৬.৫ শতাংশ। লঞ্চে ৩৫ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। তবে সিএনজিচালিত বাস ও মিনিবাসের ভাড়া বাড়ানো হয়নি।

এদিকে সরকার ভাড়া বৃদ্ধি করায় গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় বাস ও লঞ্চের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে ডিজেলের দাম না কমালে পণ্যবাহী ট্রাক চলবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

Share this news on: