দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সারাদেশে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নরসিংদীর রায়পুরা বাঁশগাড়ী, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, কুমিল্লার মেঘনা, সাতক্ষীরা সদর ও মেহেরপুরের মুজিবনগরে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন।
আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। উদ্ধার করা হয়েছে ২০টিরও বেশি পেট্রোল বোমাসহ দেশীয় অস্ত্র।
বৃহস্পতিবার সকালে নরসিংদী রায়পুরার বাশগাড়ীতে নৌকার প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল হক ও বিদ্রোহী প্রার্থী জাকির হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে দুইজন নিহত এবং পাঁচজন আহত হন। পরে হাসপাতালে মারা যান আরও একজন।
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩ নম্বর ওর্য়াডের আন্ডারচর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এসময় শতাধিক বোমা বিস্ফোরণ, গোলাগুলি ও কেন্দ্র দখলের খবর পাওয়া যায়।
চট্টগ্রামে ভোট শুরুর আগেই সীতাকুণ্ডে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশ ২০টিরও বেশি পেট্রোল বোমাসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় রামপ্রাসাদের চর কেন্দ্রে প্রতিপক্ষের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ুন কবির আহত হন।
সাতক্ষীরা সদরে বৈকারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের খলিলনগর কেন্দ্রে প্রতিপক্ষের হামলায় চেয়ারম্যানসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। একই ইউনিয়নের কাথন্ডা ওয়ার্ডেও মেম্বর প্রার্থী আব্দুল জলিলের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে ৩জন। এছাড়া মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় কোমরপুর ভোট কেন্দ্রে নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।