ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, আজ বুধবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে তামিলনাড়ুর নীলগিরি হিলস এলাকায় কপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। এই কপ্টারের ১৪ আরোহীর ১৩ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেলেও বিপিন রাওয়াতের শারীরিক অবস্থা এখনো জানা যায়নি। বিপিন রাওয়াতের স্ত্রীও এই হেলিকপ্টারে ছিলেন।
দেশটির বার্তাসংস্থা এএনআই ভারতের প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, তামিলনাড়ুতে দুর্ঘটনার শিকার সামরিক হেলিকপ্টারের ১৪ আরোহীর মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে মৃতদের পরিচয় নিশ্চিত করা হবে।
হেলিকপ্টারটিতে ভারতীয় প্রতিরক্ষাপ্রধানের সঙ্গে তার স্ত্রী, প্রতিরক্ষা সহকারী, নিরাপত্তা কমান্ডো ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা ছিলেন।
ভারতীয় বিমান বাহিনীর এমআই-১৭ ফাইভ মডেলের এই হেলিকপ্টারটি তালিমানাড়ুর সুলুর এলাকায় অবস্থিত সামরিক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই নীলগিরিতে বিধ্বস্ত হয়। রাশিয়ার তৈরি এই হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের খবর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে জেলা প্রশাসনকে জানান স্থানীয়রা। সেখানে পৌঁছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন।
দেশটির সাবেক সেনাপ্রধান জেজে সিং এনডিটিভিকে বলেছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে যেসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়ায় তাদের পরিচয় শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যে একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তার অবস্থাও অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
সামরিক এই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে দেশটির বিমান বাহিনীর এক টুইট বার্তায় জানানো হয়েছে।
বিপিন রাওয়াত ভারতের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএফ)। ২০১৯ সালে ভারত সরকার পদটি তৈরির পর থেকেই এর দায়িত্বে রয়েছে তিনি। বিপিন রাওয়াত ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তিনি ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অন্যতম উপদেষ্টাও।
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে প্রায় চার দশক ভারতীয় সামরিক বাহিনীতে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এ কর্মকর্তার। একসময় ভারতশাসিত কাশ্মীর এবং চীন সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে সশস্ত্র সংঘাত কমানো এবং প্রতিবেশী মিয়ানমারে আন্তঃসীমান্ত বিদ্রোহ দমন অভিযানে তদারকির জন্য বিপিন রাওয়াতকে অনেকটা কৃতিত্ব দেওয়া হয়।