গোপনে দেশ ছাড়তে প্রস্তুতি সেরেছেন মুরাদ হাসান। রাতের একটি ফ্লাইটে তিনি বিদেশের পথে পাড়ি জমাবেন। সম্ভাব্য গন্তব্য কানাডা।
বৃহস্পতিবার রাতে কানাডায় যাওয়ার জন্য টিকিট কেটেছেন। গতকাল বুধবার তিনি একটি টিকিট কাটেন বলে এয়ারলাইনস সূত্র জানিয়েছে।
ওই ফ্লাইটটি কাতারের দোহা হয়ে কানাডায় নামবে বলে জানা যাচ্ছে।
বিমানবন্দর এপিবিন জানিয়েছে, মুরাদ এখনো পর্যন্ত চট্টগ্রামে আছেন বলে তারা জানেন।
বিমানবন্দর দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের কাছে মুরাদ সম্পর্কিত তথ্য নেই। তারা জানিয়েছেন, মুরাদ যদি কানাডা যান তাহলে কানেকটিং ফ্লাইটে যাবেন। সেক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ফ্লাইটের কানেক্টিং সার্ভিস রয়েছে। সেগুলো থেকে সম্ভাব্য তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
প্রতিমন্ত্রীর একটি সূত্র জানিয়েছে, পদত্যাগের আগ পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রী থাকাবস্থায় মুরাদের যে লাল পাসপোর্ট (বিশেষ পাসপোর্ট) ছিল, সেটি তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার কাছে থাকলেও পদত্যাগের কিছুক্ষণ আগে ব্যক্তিগত একজন সহকারীকে দিয়ে তা নিজের কাছে নেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী থেকে পদত্যাগের পর লাল পাসপোর্ট জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি সেটি জমা দেননি।
যদিও লাল পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও অন্য দেশে যেতে কিছুটা জটিলতা রয়েছে। লাল পাসপোর্টধারী ব্যক্তি সরকারি আদেশ (জিও) ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ করতে পারেন না। এক্ষেত্রে সদ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা ডা. মুরাদ জিও না থাকায় বিদেশগমনে জটিলতায় পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও তিনি এখন গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন। এ অবস্থায় তার বিদেশগমন অনিশ্চিত হতে পারে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে মন্তব্য করে সম্প্রতি বিএনপি নেতাদের সমালোচনায় পড়েন মুরাদ হাসান। এরপর একটি টেলিফোন আলাপের অডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে একজন অভিনেত্রীর সঙ্গে অশালীন ভাষায় কথা বলতে এবং হুমকি দিতে শোনা যায়।
এই অডিও কেলেঙ্কারির জেরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মঙ্গলবার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। জামালপুর আওয়ামী লীগের সম্পাদক পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসাশাস্ত্রের ডিগ্রিধারী মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী, মেস্টা ও তিতপল্যা) আসনের এমপি।