ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ আরও বেশকিছু অঞ্চলে বিস্ফোরণের খবর জানিয়েছে বিবিসি। বলা হচ্ছে, তিন দিক থেকে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেন বলছে, তিন দিকের সীমান্ত দিয়ে তাদের দেশে হামলা চালানো হয়েছে। রাশিয়া, বেলারুশ এবং ক্রিমিয়া সীমান্ত দিয়ে ইউক্রেনে হামলা চালানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় সীমান্ত পরিষেবার পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
ইউক্রেন জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ান ফেডারেশন এবং বেলারুশপন্থি রুশ সৈন্যরা হামলা চালায়।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলীয় লুহানস্ক, সামি, খারকিভ, ছেরনিহিভ এবং ঝিতোমির অঞ্চলে হামলা চলছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, তাদের সাংবাদিক পল অ্যাডামস ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আছেন। তিনি জানিয়েছেন, কিছুক্ষণ আগে সেখানে তিনি পাঁচ থেকে ছয়টি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের খারকিভ, দক্ষিণের ওদেসা এবং পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্ক ওবলাস্ত এলাকায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এর আগেই বিবিসির সংবাদদাতারা নিশ্চিত করেছেন, তারা রাজধানী কিয়েভের পাশাপাশি দোনেৎস্ক অঞ্চলের ক্রামতোর্স্কে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনেছেন।
দোনেৎস্ক অঞ্চলে থাকা বিবিসির পূর্ব ইউক্রেন প্রতিনিধি সারাহ রেইনসফোর্ড ঐ অঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়ার খবর জানিয়েছেন।
এদিকে, বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে দেওয়া ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যেকোনো দিন রাশিয়া বড় ধরনের একটি যুদ্ধ শুরু করতে পারে বলে সতর্ক করে রাশিয়ার নাগরিকদের প্রতি এ যুদ্ধের বিরোধিতা করার আহ্বান জানান।
এসময় তিনি আরও জানান, পুতিনকে ফোন করেও কথা বলতে পারেননি তিনি।
এর আগে, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস প্রেসিডেন্ট পুতিনকে যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানিয়েছেন এবং তার উদ্দেশ্যে মন্তব্য করেছেন ‘শান্তিকে সুযোগ দিন’।
তবে, ইউক্রেনে যেন রাশিয়া আগ্রাসন না চালায়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যখন সেই বিষয়ে বৈঠক করছিল, তখনই টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে 'সেনা অভিযান' পরিচালনার ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।