৮ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুজন আটক

চীন হতে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এর আড়ালে অবৈধভাবে আমদানি করার পর ডেলিভারি গেট থেকে পালানোর সময় ঢাকা এয়ারফ্রেইট কাস্টমস গোয়েন্দা প্রায় ৮ কোটি টাকা মুল্যের ১১ কেজি (৯৬ টি বার) স্বর্ণসহ ২ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন ফিরোজ আলম (২৫) ও মোহাম্মদ নিয়াতুল্লাহ (৪০)।
 
আজ রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর (উত্তরা) এয়ারফ্রেইট ইউনিটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ।

মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ বলেন, আজ দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে কাস্টম গোয়েন্দার বিশেষ এক অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় তারা গোয়েন্দার উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু অবশেষে তাদের ধরা পড়তে হয়েছে।

কাস্টমস গােয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জানায়, ইনভেন্ট্রিকাল এয়ারওয়েবিলের মাধ্যমে আমদানিকৃত ফেব্রিক্সের ভাঁজের মধ্যে ২ টি সাদা প্লাস্টিকে মােড়ানাে প্যাকেট পাওয়া যায়। প্যাকেট দুটি খুলে মেটাল বাটনের ভেতরে কালাে স্কচটেপ মােড়ানাে ৪ টি বান্ডিল পাওয়া যায়। বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বান্ডিল খুলে ১৬ টি করে মােট ৬৪ টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়, যার ওজন ৭.৪২ কেজি (প্রতিটি ১১৬ গ্রাম করে)। এরপর অপর একটি আমদানিকৃত ফেব্রিক্স থেকে ১ টি সাদা প্লাস্টিকে মােড়ানাে প্যাকেট পাওয়া যায়। প্যাকেটটি খুলে মেটাল বাটনের ভেতরে কালাে স্কচটেপ মােড়ানাে ২ টি বান্ডিল পাওয়া যায়। 

মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ বলেন, এসময় গ্রেপ্তারকৃতদের হেফাজত থেকে বান্ডিল খুলে ১৬ টি করে মােট ৩২টি স্বর্ণবার উদ্ধার করা হয়।যার ওজন ৩.৭১২ কেজি (প্রতিটি ১১৬ গ্রাম করে)। যার সর্বমােট আনুমানিক মূল্য ৮ কোটি টাকা ।

তিনি আরও বলেন, ফেব্রিক্সের মধ্যে অত্যন্ত সুকৌশলে লুকিয়ে স্বর্ণবারসমূহ অবৈধভাবে সরকারি ধার্যকৃত শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের উদ্দেশ্যে দেশে আনা হয়েছে। এক্ষেত্রে, কাস্টমস গােয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মতৎপরতায় তা প্রতিরােধ করা সম্ভব হয়েছে। আটককৃত স্বর্ণবারগুলাে কাস্টম হাউস, ঢাকার মূল্যবান শুল্ক গুদামে জমাদান প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

আটককৃত দুইজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা এবং একটি ফৌজদারী মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর (উত্তরা) এয়ারফ্রেইট ইউনিটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এ মহাপরিচালক।

Share this news on: