নারী আন্দোলনের ইতিহাসে গৌরবময় দিন আজ:প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,'নারী আন্দোলনের ইতিহাসে আজ এক গৌরবময় দিন। দীর্ঘ কর্মঘণ্টা আর মজুরি বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে নারীরা আদায় করেছিলেন তাদের অধিকার। আদায় করেছিলেন বিশ্ব সমীহ। নারী তার মেধা ও শ্রম দিয়ে যুগে যুগে সভ্যতার সব অগ্রগতি এবং উন্নয়নে করেছে সমঅংশীদারত্ব। আর তাই সারাবিশ্বে বদলে গেছে নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি। এখন নারীর কাজে মূল্যায়ন হচ্ছে, বৃদ্ধি পাচ্ছে স্বীকৃতি।'

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষ্যে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ৮ মার্চ ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এবারের প্রতিপাদ্য ‘টেকসই আগামীর জন্য- জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্বের সব নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন সরকার প্রধান।

তিনি আরও বলেন, 'সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের পুনর্বাসন ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে নারী পুনর্বাসন বোর্ড গঠন করেন। তিনি জাতীয় জীবনের সব ক্ষেত্রে নারীর সমানাধিকারের বিষয়টি সংবিধানে নিশ্চিত করেন।'

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিটি কাজে নারী-পুরুষের সম-অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের অন্যতম অর্জন লিঙ্গবৈষম্য কমিয়ে নারীর ক্ষমতায়নের পথে এগিয়ে থাকার উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ। এরই ধারাবাহিকতায় এদেশের উন্নয়নের ধারাকে টেকসই করার লক্ষ্যে আমাদের সরকার তৃণমূল পর্যায় থেকে নারীর খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। নারীর দারিদ্র্য বিমোচনে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে ভিজিডি কর্মসূচি, দরিদ্র মায়ের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান কর্মসূচি, কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা কর্মসূচি, নারীদের আত্ম-কর্মসংস্থানের জন্য কর্মমুখী প্রশিক্ষণ এবং ক্ষুদ্রঋণসহ বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প ও কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।'

Share this news on:

সর্বশেষ