ইসরায়েলে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত

ইসরায়েলে দুই ব্যক্তির দেহে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার জানায়, নতুন ধরনটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ তারা দেখছে না।

ইসরায়েলে বেন গুরিয়ান বিমানবন্দরে পৌঁছানো দুই ব্যক্তির করোনা পরীক্ষা করা হলে তাদের দেহে ভাইরাসটির নতুন ধরন শনাক্ত হয়। করোনার সবচেয়ে সংক্রামক ধরন ওমিক্রনের বিএ.১ ও বিএ.২ উপধরনের সমন্বয়ে নতুন ধরনটি গঠিত।

ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তবে নতুন ধরনটি বিশ্বে এখনো অজানা। করোনার অন্যান্য ধরনের ক্ষেত্রে যে চিকিৎসা এই ধরনের ক্ষেত্রে চিকিৎসা একই রকম। নতুন এই ধরনের কারণে শরীরে যেসব লক্ষণ দেখা দেয় সেগুলো হলো—হালকা জ্বর, মাথাব্যথা এবং পেশীতে ব্যথা। ইসরাইলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে পিসিআর টেস্টের মাধ্যমে দুই যাত্রীর দেহে নতুন এই ধরন শনাক্ত হয়েছে। ইসরাইলের কোভিড রেসপন্স বিভাগের প্রধান সালমান জারকা বলেন, এই মুহূর্তে আমরা নতুন এই ধরন নিয়ে উদ্বিগ্ন নই।

কী কী উপসর্গ থাকছে নতুন এই ধরনে?

অল্প জ্বর, গায়ে ব্যথা, মাথার যন্ত্রণা প্রাথমিক লক্ষণ। এছাড়া কোভিডের যা যা উপসর্গ আছে প্রায় সবগুলোই এ ধরনেও দেখা যাচ্ছে। তবে এই স্ট্রেনের জন্য শরীরে যে কষ্ট দেখা দিচ্ছে তা সাময়িক ও নিরাময়যোগ্য। এজন্য বড় কোননো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই বলেই জানানো হয়েছে।

তবে নতুন এ ধরনের মধ্য দিয়ে কোনো তরঙ্গ সৃষ্টি হতে নাও পারে, এমনটাই বলেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এদিকে চিন ও দক্ষিণ কোরিয়াতে আবারও নতুন করে কোভিড প্রকোপ বেড়েছে। তবে সেখানেও নতুন এই ধরন শনাক্ত হয়েছে কি না তা এখনো জানা যায় নি।

ইসরায়েলের ৪০ লাখ মানুষ এরই মধ্যে তিন ডোজ টিকা পেয়েছে। করোনা পজিটিভ শনাক্তের সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ। দেশটিতে করোনায় মারা গেছে আট হাজার ২৪৪ জন।

এদিকে ডব্লিউএইচও বলছে, গত সপ্তাহের তুলনায় বিশ্বে নতুন সংক্রমণের হার বেড়েছে শতকরা ৮ ভাগ। গত ৭ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত নতুন করে শনাক্ত প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪৩ হাজার জনের। এ হার সবচেয়ে দ্রুত বাড়ছে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। যার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া এবং চীন। এ দুটি দেশে নতুন করে শনাক্তের হার বেড়ে ২৫ শতাংশ হয়েছে এবং মৃত্যু বেড়েছে শতকরা ২৭ ভাগ। এ বছর জানুয়ারির পর এই পরিমাণ বৃদ্ধি এটিই প্রথম।

Share this news on: