৫০ বছর আগে পাকিস্তানি বাহিনীর যে নির্মমতার শিকার হয়েছিল বাংলার মানুষ, এক মিনিটের জন্য বাতি নিভিয়ে সেই কালো রাত স্মরণ করবে বাংলাদেশ।
বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতের পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অভিযানের সাংকেতিক নাম বা কোডনেম দিয়েছিল 'অপারেশন সার্চলাইট'।
ওই এক রাতের যে অভিযানে অর্ধ লক্ষ মানুষের প্রাণহানী হয়েছিল, সেই রাতটিকে স্বাধীন বাংলাদেশে বর্ণনা করা হয় 'কালরাত্রি' হিসেবে।
আজকের রাত আর সেইদিনের রাতটাই ছিল পুরোপুরি আলাদা। জ্যোছনার বিপরীতে সে রাতে শহরে নেমে এসেছিল ট্যাংক আর কামান, বৃষ্টির বদলে ছিল স্টেনগানের ব্রাশফায়ার, ফুলের বদলে ছিল বারুদের ঝাঁঝালো গন্ধ আর পাখির ডানা ঝাপটানোর বিপরীতে ছিল মানুষের মৃত্যু চিৎকার।
সে রাতে পাক গ্রেনেড কামান মর্টার আর ট্যাংকের কাছে ভেঙে পড়েছিল থ্রী নট থ্রী'র প্রতিরোধ, তবে সে রাতেই তো রক্তাক্ত হৃদয়েও গজিয়ে উঠেছিল স্বাধীনতার সবুজ বৃক্ষ। গর্জে উঠেছিল অকুতোভয় যোদ্ধারা। ইথারে ইথারে যে আক্রমণের কথা জানিয়েছিলেন তিনিই প্রথম।
প্রজন্মের জন্যও আছে কি এমন কোনো বার্তা, শুধু কালরাত্রিতে নয়, বছরজুড়েই জাগরুক থাকবে এই দিনটির চেতনা।