জয়ের সঙ্গে থামলো বাংলাদেশও

মাহমুদুল হাসান জয় থামলেন সেই সঙ্গে থামলো বাংলাদেশও। তবে হয়নি দলীয় তিনশ পূরণ। ৩শ’ থেকে ২ রান দূরে থাকতেই উইলিয়ামসনের বলে স্লিপে হারমারের হাতে ধরা পড়েন জয়। বিদায়ের আগে জয় ৩২৬ বলে ১৫ চার ও ২ ছয়ে করেন ১৩৭ রান। সেই সঙ্গে বাংলাদেশি হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করা প্রথম ক্রিকেটার হয়ে যান তিনি।

এর আগে ৯৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করে টাইগাররা। তৃতীয় দিনে ফলোঅন এড়ানো নিয়েই শঙ্কা ছিল। তবে জয়-লিটনের ব্যাটে সে শঙ্কা উড়ে যায়। তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান তুলে প্রথম সেশন শেষ করে সফরকারীরা।

জয় ৮০ ও লিটন ৪১ রান দিয়ে দ্বিতীয় সেশনে ব্যাট শুরু করেন। কিন্তু বিরতি থেকে ফিরেই ছন্দ হারান লিটন। পেসার লিজাড উইলিয়ামসের বল পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঠিক মতো করতে না পারায় ব‍্যাট ও প‍্যাডে লেগে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। ৯২ বলে ৬ চারে ৪১ রান করেন লিটন। 

এরপর নতুন ব্যাটার ইয়াসির আলি রাব্বিকে নিয়ে নতুন জুটি গড়েন জয়। কিন্তু দুজনের ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফেরেন রাব্বি। ডুয়ানে অলিভিয়েরের বল মিড উইকেটে পাঠিয়ে রান নিতে দৌড় শুরু করেন জয়। শুরুতে ২ রান নিতে চাইলেও পরে জয় বুঝতে পারেন যে তা সম্ভব নয়, তখন রাব্বিকে ফিরিয়ে দেন তিনি। ততক্ষণে অনেক দূর চলে আসা রাব্বির আর ফেরার পথ ছিল না।

কিন্তু ফিল্ডারের বাজে থ্রোর পরও রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। ফেরার আগে ৫৩ বলে জয়ের সঙ্গে ৩৩ রানের জুটি গড়েন রাব্বি। যেখানে তার অবদান দুই চারে ৩৭ বলে ২২ রান। এরপর অষ্টম উইকেটে মিরাজকে নিয়ে দারুণ ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন জয়। চা বিরতির আগে দু’জনে গড়েন ৪১ রানের জুটি। বিরতি থেকে ফিরে জুটিতে আর ১০ রান যোগ করার পর বিদায় নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। মুলডারের বলে স্লিপে ধরা পড়েন হারমারের হাতে। তার আগে অবশ্য মিরাজ ৮১ বলে ৪টি চার ও এক ছয়ে ২৯ রান করেন। তখন দলীয় স্কোর ২৬৭ রান। 

নবম উইকেটে খালেদ আহমেদকে নিয়ে জয় গড়েন ২৭ রানের জুটি। যার সব রান একাই করেন জয়। দলীয় ২৯৪ রানে ওলিভারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন খালেদ। তিনি ৭ বল খেললেও কোনও রান করতে পারেননি। দশম উইকেটে এবাদতকে নিয়ে করেন আরও চার রান। এটাও জয়ের। 

Share this news on: