খুচরা বাজারে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সুপার পাম তেল। কারওয়ান বাজারে খুচরা দোকানে সয়াবিন তেল নেই এখনও।
শনিবার সকালে বাজার ঘুরে দেখা যায়, তেলের মান ও কোম্পানি ভেদে সানফ্লাওয়ার তেল ২৮০ থেকে ৩৮৬ টাকা লিটার, সরিষার তেল ২৮০ থেকে ৪০০ টাকা লিটার ও রাইস ব্র্যান তেল ১৯০ টাকা লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে। ১৭২ টাকা নুতন দাম নির্ধারণ করা হলেও লিটারে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সুপার পাম তেল। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী ও উৎপাদনকারীদের সাথে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের বৈঠকে এই দাম নির্ধারণ করা হয়।
শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজধানীর নয়াবাজারে গিয়ে কোনো দোকানে পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি। কয়েকটি দোকানে এক লিটারের বোতল পাওয়া গেলেও দাম ২০০-২১০ টাকা। খোলা সয়াবিন ১৯০-২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার বোতলজাত প্রতিলিটারের দাম ১৯৮ ও খোলা সয়াবিনের দাম ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা শুক্রবার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। এদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাজারে তেল কেনা-বেচা নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়।
ক্রেতাদের তোপের মুখে পড়ে কোনো কোনো বিক্রেতা অল্প কিছু পাঁচ লিটারের বোতল বের করেন। তবে দাম চাওয়া হয় ১০৫০ টাকা, যা বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৯৮৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা হালিমা বেগম বলেন-বাজারে ভোজ্যতেল নেই, তা বলা যাবে না।