মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পঙ্গু হচ্ছে হাজারো তরুণ

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে চলতি মে মাসের প্রথম সাত দিনে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনায় আহত এক হাজার ৪৭৪ জন সেবা নিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সময়ে হাসপাতালে আসাদের মধ্যে ৬৫ শতাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার। তাদের অনেকেরই হাত-পা কেটে ফেলতে হয়েছে।

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কেউ হাত বা পা ভাঙলে সুস্থ হতে তিন থেকে নয় মাস সময় লাগছে। স্বাভাবিক সময়ে হাসপাতালটিতে দৈনিক দেড়শ জনের মতো রোগী এলেও ঈদের সময় রোগীর সংখ্যা পৌঁছে যায় ২০০ থেকে ২৫০ জনে। আবার তাঁদের ৯০ শতাংশই তরুণ। মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনায় রক্তক্ষরণ বেশি হয় এবং পায়ের হাড় বেশি ভাঙে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে (জানুয়ারি-এপ্রিল) মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৮৩০ জন। আর ২০১৯ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যান ৯৪৫ জন। ২০২০ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৪৬৩ জনে। আর ২০২১ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যান ২ হাজার ২১৪ জন। ২০২১ সালে আগের বছরের চেয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ৫০ শতাংশ ও এই দুর্ঘটনাগুলোতে মৃত্যু ৫১ শতাংশ বেড়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৫ শতাংশের বয়স ১৪ থেকে ৪৫ বছর।

Share this news on: