জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত আন্তর্জাতিক নিরাপদ সড়ক সপ্তাহ - ২০২২ উপলক্ষ্যে 'রোড সেফটি এ্যালায়েন্স বাংলাদেশ' এর আয়োজনে সড়ক দুর্ঘটনা নিরসন কল্পে শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২১ মে) রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবনের স্বাধীনতা হলে এই সভার আয়োজন করা হয়। নিরাপদ সড়ক সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ছিল শহর ও জনবহুল এলাকায় গতিসীমা ৩০ কি.মি/ঘন্টা এ নামিয়ে আনা।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, কয়েকটি সংগঠন এর সমন্বয়ে গঠিত রোড সেফটি এ্যালায়েন্স প্রথমবারের মতো দেশের একমাত্র সংগঠন হিসেবে আন্তর্জাতিক সড়ক সপ্তাহে মাঠ পর্যায় থেকে কাজ করেছে। জাতিসংঘ থেকে ইতিমধ্যেই যার জন্য তাদের অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
যানজট নিরসন কল্পে সভায় বিস্তর আলোচনায় নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ) এর যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ মেহেদি দীপ্ত বলেন, "দুর্ঘটনার পিছনে রয়েছে মূলত প্রশাসনিক দূর্বলতা, যত্রতত্র অব্যবস্থাপনা। ঢাকার মেট্রোরেল সহ সারাদেশে কোনো প্রকল্পই বর্তমানে সুষ্ঠু পরিকল্পনায় সম্পন্ন হচ্ছে না। যার ফলে জনদুর্গোভ কমার বদলে বেড়ে যাচ্ছে যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা।
তিনি আরো বলেন, শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রামেই প্রতি বছর যানজটে ক্ষতি হচ্ছে ৫০ হাজার কোটির টাকারও বেশী। যা গত জাতীয় বাজেটের প্রায় ৮ শতাংস।"
রোড সেইফটি অ্যালায়েন্সের নির্বাহী পরিচালক আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, "অতিরিক্ত গতিসীমার কারণে আমাদের দেশে যেভাবে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে চলেছে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য জনবসতিপূর্ণ এলাকার সড়কে সর্বোচ্চ ৩০কি.মি/ঘন্টা গতিবেগ কার্যকর করা জরুরী"।
তিনি আরও বলেন, আমরা বেশ কিছু সংগঠন একত্রিত হয়েছি নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নের জন্য। আমরা চাই সরকার ও প্রশাসন সকলেই আমাদের এই উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত করে কাজ করতে। সকলে মিলে একসাথে কাজ করলে আমরা অবশ্যই এই সেক্টরে দূর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব।
আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী সহ কয়েকজন প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তা।