মিয়ানমার উপকূলে রোহিঙ্গা শরণার্থী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছে ৫০ জন।
গেলো রোববার (২২ মে) খারাপ আবহাওয়ার কারণে শিশুসহ প্রায় ৯০ জন আরোহী নিয়ে নৌযানটি সাগরে ডুবে যায় বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
রেডিও ফ্রি এশিয়ার খবরে বলা হয়েছে, কমপক্ষে ৯০ জন আরোহী নিয়ে বঙ্গোপসাগর পার হয়ে নৌকাটি মালয়েশিয়ার দিকে যাচ্ছিলো। সে সময় এটি ডুবে যায়। কিছু মৃতদেহ পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসে।
এদিকে এ সময় সাঁতরে তীরে ওঠা ২০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আটক করেছে মিয়ানমারের এরাওয়াদি অঞ্চলের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
পাথেইন জেলার পুলিশের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুন শোয়ে জানিয়েছেন, নৌকার মালিকসহ ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, রাখাইনের দক্ষিণে শোয়ে থাউং ইয়ানের কাছে থাপ্যায় হামাও দ্বীপের প্রায় পাঁচ নটিক্যাল মাইল পশ্চিমে নৌকাটি ডুবে যায়।
এ ঘটনায় শোক জানিয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে মোট ৬৩০ জন রোহিঙ্গা বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে মিয়ানমার থেকে পালানোর চেষ্টা করেছে। যাদের ৬০ শতাংশই ছিল নারী ও শিশু।