নেপালি সেনাবাহিনী এবং পুলিশ ‘তারা এয়ার’ বিধ্বস্ত হওয়ার দুর্ঘটনাস্থল থেকে ১৪ মরদেহ উদ্ধার করেছে। সোমবার সকালে দেশটির উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের মুসতাং জেলায় দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের উদ্ধাকারী দল। ওই প্লেনে থাকা কেউই আর বেঁচে নেই বলে কাঠমান্ডু পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
সোমবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্লেনটির ধ্বংসাবশেষের ছবি শেয়ার করেছেন নেপালের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নারায়ণ সিলওয়াল। সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় হোটেল মালিক ও সমাজকর্মী ইন্দ্র সিং জানান, দুর্ঘটনাস্থলে কেউ আর জীবিত নেই।
জানা যায়, উড়োজাহাজটি সরাসরি পাহাড়ে আছড়ে পড়ায় তা টুকরো টুকরো হয়ে যায়। এতে ১৯ যাত্রী ও ৩ ক্রু ছিলেন। তাদের মধ্যে ২ জার্মান, ৪ ভারতীয় ও ১৩ জন নেপালি।
গত রোববার উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য নেপালের সেনাবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়। কিন্তু, আলোর স্বল্পতা ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে ঘটনাস্থলে হেলিকপ্টার নিয়ে যেতে পারেননি।
দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সকাল থেকেই পোখারা-জমসম এলাকা ঘন মেঘে ঢাকা ছিল। সে কারণে উদ্ধার হেলিকপ্টার রওনা হয়েও ফিরে আসতে বাধ্য হয়।
নেপালের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ঘণ্টা খানেক পর দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মাস্ট্যাং জেলার থাসাং গ্রামের সানো সোয়ারে ভিরে এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।
এর আগে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নারায়ণ সিলওয়াল টুইটারে বলেছিলেন, 'সেনা সদস্যরা উড়োজাহাজটির বিধ্বস্ত হওয়ার জায়গাটি চিহ্নিত করেছেন। উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।'