পিরোজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আবারো অংশ নিতে জেলার মঠবাড়িয়া-ভান্ডারিয়া-কাউখালীর ছয় উপজেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সাথে মতবিনিময় করেছেন জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন মহারাজ।
এসময় তিনি বলেন, আমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড এ উন্নয়নের আলো পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার গ্ৰাম হবে শহর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছি। আপনারা যদি চান তাহলে আমি পুনরায় জেলা পরিষদের নির্বাচন করব, আপনারা না চাইলে করব না।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভান্ডারিয়া উপজেলার তেলিখালী ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগ এর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. সেলিম মিয়া সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন পাঁচ উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতারা। এছাড়া জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) সিনিয়র নেতার উপস্থিত ছিলেন।
মহিউদ্দিন মহারাজ বলেন, আমরা সকল জনপ্রতিনিধিগণ এক হয়ে সকল গ্রুপিং ভুলে পিরোজপুরের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাব। কোন অপশক্তিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত করতে দিব না।
বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ তাদের বক্তব্যে বিভিন্ন উন্নয়নের সুফল তুলে ধরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে মহারাজের পক্ষে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মতবিনিময় সভায় অনেকেই পিরোজপুর -৩, য এবং পিরোজপুর-২ আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার পরামর্শ দেন।
ভান্ডারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফাইজুর রশিদ খসরু বলেন, আমরা মহিউদ্দিন মহারাজকে পিরোজপুর -২, আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চাই এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে মহিউদ্দিন মহারাজকে আওয়ামীলীগ এর মনোনয়ন দেয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অমূল্য রঞ্জন হালদার বলেন জেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিউদ্দিন মহারাজের জনপ্রিয়তা দেখে তার বিরুদ্ধে কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে আমি মনে করি না। আমরা নাজিরপুরের সকল জনপ্রতিনিধি মহিউদ্দিন মহারাজকে শতভাগ সমর্থন দিচ্ছি।
গত ২৫শে জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মহাসমাবেশে বিলাসবহুল ৭ টি লঞ্চে ২০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে যোগ দেন মহিউদ্দিন মহারাজ।