ঋণখেলাপিদের বড় ছাড় দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারের চারটি ধারা (৪, ৫, ৬ ও ৯) কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে প্রাইভেট ব্যাংকগুলোর লোন মনিটরিং সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা খর্ব করা কেন অবৈধ নয়, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচার সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট আটজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
গত ২২ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে জারি করা পরিপত্রের ৪(২) (৩), ৫, ৬ ও ৯ নম্বর ধারা চ্যালেঞ্জ করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এ রিট দায়ের করে।