শেষ বলটা কেন নো-বল!

বোলারের পা ক্রিজের ভেতর, কোমরের নিচুতে বল, তাহলে কেন নো-বল!

ক্রিজের ভিতরেই পা ছিল বোলারের। বলও ছিল কোমরের নীচুতে। তারপরও বাংলাদেশের উইকেট-কিপারের ভুলে ম্যাচের শেষ বলটা নো হল। তবে শেষপর্যন্ত ম্যাচ জিততে পারেননি জিম্বাবোয়ে। চূড়ান্ত নাটকীয় শেষ ওভারের পর তিন রানে জিতে গিয়েছে বাংলাদেশ।

কেন নো বল হল?

রোববার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘সুপার ১২’ পর্যায়ের ‘গ্রুপ ২’-র ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য শেষ বলে জিম্বাবোয়ের প্রয়োজন ছিল পাঁচ রান। বড় শট মারতে গিয়ে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন জিম্বাবোয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি। সহজ স্টাম্পিং করে দেন নুরুল হাসান। তারপরই উচ্ছ্বাসে ভেসে যান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। একরাশ হতাশা নিয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান জিম্বাবোয়ের খেলোয়াড়রা। পিচের কাছাকাছি চলে আসেন মাঠকর্মীরা।

তারইমধ্যে নুরুল ঠিকভাবে বল ধরেছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখতে থাকেন তৃতীয় আম্পায়ার। তাতে দেখা যায়, মুজারাবানি ক্রিজ থেকে বেরিয়ে আসার পর উত্তেজনার বশে উইকেটের আগেই বল ধরেছেন নুরুল। তারপর ভেঙে দিয়েছেন স্টাম্প। কয়েকবার রিপ্লে দেখার পর জায়ান্ট স্ক্রিনে তৃতীয় আম্পায়ার জানিয়ে দেন, মুজারাবানি আউট হননি। তারপরই নো-বল ডাকেন অনফিল্ড আম্পায়ার মারে এরেসমাস।

নিয়ম কী বলছে?

আইসিসির ২৭.৩ ধারায় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, স্টাম্প পেরিয়ে যাওয়ার আগে যদি উইকেটকিপার বল ধরেন, তাহলে নো বল ডাকবেন আম্পায়ার। ২৭.৩.১ ধারা অনুযায়ী, স্ট্রাইকার এন্ডে যতক্ষণ না স্টাম্প পার করছে বল, ততক্ষণ পুরোপুরি উইকেটের পিছনে থাকতে হবে উইকেটকিপারকে। ২৭.৩.২ ধারা অনুযায়ী, সেই নিয়ম লঙ্ঘন করলে নো বল ডাকবেন আম্পায়ার।

সেই নিয়মের ভিত্তিতেই বাংলাদেশ ম্যাচে নো বল ডাকেন অনফিল্ড আম্পায়ার এরেসমাস। সেইসঙ্গে ফ্রি-হিট পায় জিম্বাবোয়ে। তার ফলে এক বলে চার রান দরকার ছিল সিকন্দর রাজাদের। কিন্তু সেই বলে ব্যাট ঠেকাতে ব্যর্থ হন জিম্বাবোয়ের মুজারাবানি। ফলে তিন রানে ম্যাচ জিতে যায় বাংলাদেশ।

Share this news on: