গ্যাস-বিদ্যুতের দাম কীভাবে নির্ধারণ করা হয়, জানতে চেয়েছে আইএমএফ

বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম কী পদ্ধতিতে নির্ধারণ করা হয়, এই খাতের ভর্তুকির বিষয়টি কীভাবে বিবেচনা করা হয়- এসব বিষয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে জানতে চেয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

রোববার (৬ নভেম্বর) আইএমএফ প্রতিনিধি দল বিইআরসির কার্যালয়ে অবস্থানকালে এসব তথ্য জানতে চেয়েছে।

দলের এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে চার সদস্যের দলটি বিইআরসির জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ এবং ভর্তুকির বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছেন। এ সময় বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সদস্য আবু ফারুকসহ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিইআরসি সূত্রের বরাতে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউন জানিয়েছে, দাম কীভাবে নির্ধারণ করে সংস্থাটি? কয়েকবার দাম নির্ধারণ করতে পারে কিনা? এবং বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়েও প্রতিনিধি দলটি আলোচনা করেছে। এছাড়া বিইআরসির অধীনে গঠিত তহবিলগুলোর বিষয়েও জানতে চেয়েছে তারা।

এক কর্মকর্তা জানান, তারা কোনো পরামর্শ দেয়নি। তারা শুধু আমাদের কাছে তথ্য জানতে চেয়েছে। আমাদের ডিসপিউট সেটেলমেন্ট সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে আমরা আমাদের পদ্ধতি তাদের সামনে তুলে ধরি। তারা জানতে চায় আমরা সব কস্ট যোগ করি কিনা। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, যৌক্তিক কস্টগুলো বিবেচনা করা হয়। সাবসিডির বিষয়ে বলা হয়, যদি সাবসিডি থাকে তাহলে তা কস্ট থেকে বিয়োগ করে দেওয়া হয়।
তহবিলের বিষয়ে কমিশন জানিয়েছে, এই তহবিলের টাকা কিছু প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে, কিছু এলএনজি কেনায় ব্যয় হচ্ছে। আবার সম্প্রতি রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঞ্চালন লাইনের রিভার ক্রসিং কাজের জন্য পিডিবিকে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা দিয়েছে কমিশন। 

Share this news on: