ডায়াবেটিস নিয়ে ভুল ধারণা, দেখে নিন সেগুলো কি?

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয় ১৪ নভেম্বর। ডায়াবেটিস নিয়ে মানুষের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু মিথ। এসব মিথ নিয়ে কথা বলেছেন পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবাকর। সঠিক ডায়েটই ডায়াবেটিস রোগের মোক্ষম ওষুধ। প্রতিদিনের ডায়েট থেকে কিছু নির্দিষ্ট খাবার বাদ দিলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

বিখ্যাত পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবাকরের মতে, তেমনই কয়েকটি মিথের কথা জানাচ্ছেন। এই মিথগুলো শুধু রোগীর মধ্যেই দেখা যায় তা নয়। অনেক চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদও এমন মিথের মধ্যে থাকেন। 

১. হাঁটা না ব্যায়াম? ডায়াবেটিস হলে অনেক চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদই নিয়মিত হাঁটতে বলেন। এতে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে রুজুতার কথায়, হাঁটার থেকেও বেশি উপকারী নিয়মিত ব্যায়াম। নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের পেশি শক্ত রাখে। পাশাপাশি ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সও নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে ডায়াবেটিস আয়ত্তে রাখা সম্ভব হয়।

২. ডায়াবেটিস কমবে তো? ডায়াবেটিস একবার হলে তা আর কমবে না এমনটা ভাবা ভুল। বরং নিয়মিত ডায়েট মেনে চললে ডায়াবেটিস সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। এই রোগ আয়ত্তে রাখার সবচেয়ে ভালো ও সাশ্রয়ী উপায় হল মরশুমি ফল ও শাকসবজি ডায়েটে রাখা। এগুলো ডায়েটে থাকে না বলেই রক্তে শর্করার মাত্রা সহজে স্বাভাবিক হয় না। চিকিৎসকরা সবসময় মরশুমি ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন না।

৩. ঘি খাওয়া উচিত নয়? ঘি ও ফ্যাটজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে বলেন অনেক চিকিৎসক। তবে নারকেল ও ঘি-এর মধ্যে রয়েছে শরীরের জন্য উপকারী কিছু ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদযন্ত্র ভালো রাখার পাশাপাশি ইনসুলিনও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৪. কলা এড়িয়ে চলা উচিত? অনেকেই আপেল খাওয়ার পরামর্শ দেন। অথচ কলা এড়িয়ে চলতে বলেন। রুজুতার মতে, ডায়াবিটিসে কলার মতো ভালো খাবার খুব কম হয়। কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। এছাড়া এটি শর্করার পাশাপাশি রক্তচাপও ঠিক রাখে।

৫. চায়ে চিনি না বিস্কুট? ডায়াবেটিস হলেই চায়ে চিনি খাওয়া বারণ। অথচ মেরি বিস্কুট খাওয়ার থেকে চায়ে এক চামচ চিনি খাওয়া অনেক ভালো, তেমনটাই মত রুজুতার। বিস্কুটে থাকে ট্রান্স ফ্যাট, নিম্নমানের শর্করা ও ইম্যালসিফায়ার। এগুলো চায়ে এক চামচ চিনি খাওয়ার থেকে বেশি বিপজ্জনক।

Share this news on: