আজ ১৬ ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। এ উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসেছেন দলমত নির্বিশেষে মানুষজন। কেউ এসেছেন সংগঠনের সঙ্গে, কেউ এসেছেন ব্যক্তি হিসেবে। তাদের সবার হাতে ফুলের তোড়া। সেসব তোড়ার স্থান স্মৃতিসৌধের শহিদ বেদীতে। সহস্র জনতার শ্রদ্ধার ফুলে ভরে উঠছে শহীদ বেদী।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিজয়ের ৫১ বছর উদযাপন করতে আসা হাজারো মানুষের মধ্যে ছিল বাঁধভাঙা উল্লাস। তবে এর মধ্যেও ৩০ লাখ শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানাতে ভোলেননি তারা। শিশু থেকে বৃদ্ধ-অধিকাংশের হাতে লাল-সবুজের পতাকা আর বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা।
এর আগে সকাল ৬.২৭ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর পর শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তিন বাহিনীর প্রধান, ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার এবং ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক উপস্থিত ছিলেন।
পরে ভোর ৬টা ৪৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হোন। পরে সর্বসাধারণের জন্য খূলে দেওয়া হয় সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এতে লাখ মানুষের সমাগম ঘটে স্মৃতিসৌধ চত্বর এলাকায়। এ সময় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিকদল, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহ শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
অন্যদিকে, দিবসটি উপলক্ষে সাভারের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছে।